আর ৪ শতাংশ কাজ শেষ হলেই খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাান কাজ শেষ হয়েছে ৯৬ শতাংশ। আর ৪ শতাংশ কাজ শেষ হলেই খুলে যাবে স্বপ্নের এ টানেল। নদীর দুই পাড়ে সূচনা হবে নতুন এক যোগাযোগ।
উন্নয়নের সে ছোঁয়া লেগেছে নদীর দক্ষিন পাড় আনোয়ারা, পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলায়। এরইম্যধে নদীর দক্ষিন পাড়ে প্রায় ১০০ টি কলকারখানা স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করেছে বড় বড় শিল্পগ্রুপ। বেড়েছে জমির দামও।
সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, কর্ণফূলী নদীর শহরের পাড়ে যেখানে ৬ হাজার একর জাায়গাজুড়ে শিল্প এলাকা সেখানে দক্ষিন প্রান্তে আছে মাত্র ৮শ একর। টানেল হলে দক্ষিন প্রান্তে প্রায় ১২০০০ একর জায়গায় শিল্পায়ন হবে। নদীর দক্ষিন পাড়ে বর্তমানে ৪৭ শতাংশ জায়গায় হয় কৃষিকাজ, আর মাত্র ২ শতাংশে আছে শিল্পায়ন, যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৪ শতাংশে। ব্যবসায়িরা বলছেন, শহরে শিল্পপ্লট সম্প্রসারণের আর জায়গা নেই। তাই দক্ষিন পাড় থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত হতে পারে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প করিডোর।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এস এম আবু তৈয়ব বলেন, আমরা যদি ভালো একটা যোগাযোগ ব্যবস্থা করতে পারি, ছয় লেনের একটা মহাসড়ক করতে পারি, তাহলে এই টানেল আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট একটা ভূমিকা রাখবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নির্মানাধীন মাতারবাড়ি বন্দর, বে টার্মিনাল, টানেল ও বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল পুরো চট্টগ্রামের মানচিত্রে পরিবর্তন নিয়ে আসবে। তৈরি হবে বিপুল কর্মসংস্থান। সমীক্ষা অনুযাযী, প্রতি বছর প্রায় ১৭ হাজার নতুন কর্মমসংস্থান তৈরি হবে শিল্পায়নকে ঘিরে।
চখ/জুইম