চড়া দামে পন্য বিক্রি: জরিমানা গুনল খাতুনগঞ্জের ৫ প্রতিষ্ঠান
বাজার মূল্যর চেয়ে চড়া দামে ভোগ্যপন্য বিক্রি, মূল্য তালিকা না থাকা এবং ক্রয় বিক্রয় রশিদ সংরক্ষনে না রাখার অপরাধে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড দিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ বুধবার (২২ মার্চ) সকাল ১১ টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান ভোগ্যপণ্যের পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে এ অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক এবং প্লাবন কুমার বিশ্বাস।
এসময় বিভিন্ন দোকানে ভোজ্য তেল, চাল, চিনি, পেঁয়াজ, খেঁজুরসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা, ক্রয়-বিক্রয় রশিদ পরিবীক্ষণ করা হয়। এতে ৫টি দোকানে অনিয়ম ধরা পড়ে।
এরমধ্যে চড়া দামে ভোগ্যপন্য বিক্রি, মূল্য তালিকা না থাকা এবং ক্রয় বিক্রয় রশিদ অসংরক্ষনের মতো অনিয়মে জুয়েল এন্টার প্রাইজকে দশ হাজার টাকা, একই অপরাধে হাজী জসিম ট্রেডার্সকে ৫ হাজার, এফ সি ট্রেডার্সকে ৫ হাজার, আল মদিনা ট্রেডার্সকে ৫ হাজার এবং আল্লাহর দানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো উমর ফারুক বলেন, বাজারে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীর মধ্যে মধ্যসত্ত্বকারী একটা সিন্ডিকেট আছে যারা পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অনেকাংশে দায়ী। যাদের মাধ্যমে একটা পণ্য বিভিন্ন হাত বদল হয়ে দাম বাড়তে থাকে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ট্রেড লাইসেন্স চেকিংসহ পরবর্তিতে এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও সরবরাহ কমার অজুহাতে যাতে জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে না পরে সেই বিষয়েও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে এবং বিভিন্ন দোকানে জরিমানা করার পাশাপাশি পুরো মাস জুড়ে মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, রমযানে দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি ঠেকাতে মহানগর ও উপজেলায় ৪০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে।
ইতিমধ্যে আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্যে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেছি। আমরা এর সুফলও পাচ্ছি। চাহিদা অনুযায়ী বাজারে পণ্য সরবরাহ চলমান রয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
চখ/আর এস