রমজানে চালের দাম বাড়ানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দিলেন ব্যবসায়ীরা
রমজান মাসে চালের দাম বাড়বে না বলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে আশ্বাস দিয়েছেন চালকল মালিক (মিলার) ও ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে রমজান মাসে ‘চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে’ মতবিনিময় সভায় তারা এ আশ্বাস দেন।
খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারসহ চাল ব্যবসায়ী নেতা ও মাঠপর্যায়ের খাদ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আমদানির কারণে মিল মালিকদের লোকসান গুণতে হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এখন প্রতিমণ চালে ১৫০ টাকা থেকে ২শ টাকা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে। মিল মালিক নয়, ধান-চালের ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত নয়, এমন লোকজন ধান ও চাল মজুদ করছে। এরাই মূলত সমস্যা তৈরি করছে।
সভায় নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নীরদবরণ সাহা চন্দন বলেন, রমজানে চালের দাম বাড়ানোর কোনো কারণ নেই, বরং সামনে দাম আরও কমতে পারে।
লোকসানের কারণ হিসেবে বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আব্দুর রশিদ বলেন, বাইরে থেকে চাল আমদানি করার ফলে শত শত মিলের কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে, এটা বোধহয় একটু বেশি বেশি ভাবা দরকার ছিল।
তিনি বলেন, মিলগুলো যাতে টিকে থাকতে পারে, খাদ্য মন্ত্রণালয়কে সেদিকে নজর দিতে হবে। আমরা মিল মালিকরা এদেশের সন্তান। আমরা শুধু টাকা ইনকাম করব সেই চিন্তাই নেই। মানুষ চিরস্থায়ী নয়, তাকে মরতে হবে। সেটা মনে করেই সাধারণ মানুষকে আমরা কষ্ট না দেই। চালের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। ইনশাআল্লাহ, চালের বাজার আর বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখব।
অটো মেজর অ্যান্ড হাস্কিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এইচ আর খান পাঠান বলেন, চালের দাম আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই। সামনে নতুন চাল আসছে। তাই বাজার আর অস্থিতিশীল হওয়ার কোনো আশঙ্কা দেখছি না।
সরকারকে সারাবছর বাজার মনিটরিঙের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কী করছি না করছি সেটা সরকারের নজরে থাকুক।
সাআ / চখ