chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

খাতুনগঞ্জে চাহিদার অতিরিক্ত ছোলা আমদানি,কমেছে দামও

সড়ক পথে ৯০ শতাংশ ছোলা এসেছে ভারত থেকে

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে রোজার আগে চাহিদার অতিরিক্ত ছোলা আমদানি হয়েছে। যার ফলে কেজিতে  ছোলার  দাম কমেছে ১০  থেকে ১২ টাকা। পাইকারিতে বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে। তাই  ক্রেতা সংকটে বিপদে ব্যবসায়ীরা।

খাতুনগঞ্জে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি আড়তেই থরে থরে সাজানো ভারতীয় ছোলা। যেখানে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন ছোলা। সে তুলনায় ক্রেতা কম। আবার আজ এক দাম তো কাল আরেক দাম। গেল কয়েক দিনে কমেছে প্রায় ১০ থেকে ১২ টাকা।

এবার বেশিরভাগ ছোলাই ভারত থেকে স্থলবন্দরে দিয়ে আসায় বেড়েছে পরিবহন খরচ। এ নিয়ে হতাশা  ব্যবসায়ীরা।

চাহিদার অতিরিক্ত ছোলা আমদানি হওয়ায় বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়লেও কপাল পুড়েছে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়িদের। প্রতি বছর দেশে রোজার আগে ছোলা আমদানি হয় অস্ট্রেলিয়া বা তানজানিয়া থেকে।  এবার প্রায় ৯০ শতাংশ ছোলা এসেছে ভারত থেকে।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আসাদ ট্রেডার্সের ম্যানেজার জুয়েল মহাজন বলেন,  ‘প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ ছোলা বিভিন্ন বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসছে। এতে চাহিদার থেকেও বেশি ছোলা এসে পড়ায় দাবে একটা প্রভাব পড়েছে।’

কাফেল ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী  সাগর বলেন, ‘এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমরা যারা খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী আছি তারা অনেক বড় লোকসানে পড়বো।’

রোজায় ছোলার চাহিদার ৮০ থেকে ৯০ শতাংশের যোগান দেয়া খাতুনগঞ্জে বেচা-কেনা কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। ভারত থেকে আমদানি করা ছোলা বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ঢুকছে। পরবর্তীতে যা চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানের মোকামে।

খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্ল্যাহ জাহেদী বলেন, ‘এলসি জটিলতায় ব্যবসায়ীরা পণ্য আনতে পারেনি। বাংলাদেশের ডলার সংকটের সুযোগে ভারত অন্য দেশ থেকে ছোলা আমদানি করে মজুত করেছে। সেটিই এখন বাংলাদেশে রপ্তানি করছে। এতে ছোলার আমদনি মূল্য বেড়েছে।এর ফলে আমাদের বাধ্য হয়ে ভারতনির্ভর হতে হয়েছে।’

খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি সোলায়মান বাদশা বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া থেকে আগে ছোলা আমদানি করতে পারতো, কিন্তু সরকার সেটি করেনি। ভারত এখন তারা ভালো লাভে বাংলাদেশে রপ্তানি করছে।’

এদিকে সড়ক পথে ছোলা আমদানি করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। কারণ ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণের কারণে ১৩ টনের বেশি পণ্য পরিবহনে গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। যার ফলে প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে পড়বে বলে  দাবি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের।

 

তবে পর্যাপ্ত মজুদ থাকায়  ছোলা রোজার আগে পণ্যটির দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

 

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর