chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ নেয়ার মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ‘বিশ্বের ১৩০টি দেশ যখন টিকা দেয়া শুরু করতে পারেনি তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশে করোনার টিকা দেয়া শুরু করেছেন।

এক এক করে ইতিমধ্যে তিনটি পর্যন্ত ডোজ দেয়া শেষ হয়েছে। এখন চার নাম্বার ডোজ দেয়া হচ্ছে। করোনার প্রকোপ কমায় টিকার চতুর্থ ডোজ নেয়ার মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।

বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের আয়োজনে সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির উপকার ভোগীদের সমাবেশে র্ভাচুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘যখন টিকা দেয়া শুরু করা হয়েছিলো তখন মির্জা ফখরুল, জাফর উল্লাহসহ বিএনপি নেতারা মুখ ভেটকিয়ে টিকার বিরোধিতা করেছিলেন। পরবর্তীতে তারা আবার নিজেরাই টিকা নিয়েছে। তারা লজ্জা ভেঙে কেউ দিনে কেউ আবার রাতে টিকা নিয়েছেন।

ইউনিয়নের বিরাজ কমিউনিটি সেন্টার মাঠে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল্লাহ। নাছির উদ্দীন রিয়াজ ও আবু তৈয়ব সিদ্দিকীর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম চিশতী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন, ইদ্রিছ আজগর, আক্তার হোসেন খাঁন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ’বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার হাজার মানুষকে ভাতা দিচ্ছে, ভিজিডি, ভিজিএফ, ফ্যামিলি কার্ড, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ঔষধ ফ্রি ঔষধ, বছরের শুরুতে বিনাপয়সায় বইসহ নানা সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। উন্নয়নে বদলে দিয়েছে পুরো দেশকে।

বিএনপি এলে এসব বন্ধ করে দেবে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেমে যাবে। যে সরকার দেশের সাধারণ মানুষের জন্য এতোসব করছে সেই সরকারকে একটি করে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল হোসেন, জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, আবদুর রহিম, সিরাজুল করিম সিকদার, পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইদ্রিস মেম্বার, ভাস্কর সাহা, পৌর কাউন্সিলর মাস্টার অলি আহমদ, যুবলীগ নেতা আবু বক্কর, মো. ইব্রাহীম, আবদূর রহিম, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. আলী শাহ, ইব্রাহিম খলিল রিফাত, মোহাম্মদ হান্নান প্রমুখ।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর