chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সীতাকুণ্ডে আগুন: নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী,তদন্ত কমিটি গঠন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড কুমিরা এলাকায় তুলার গোডাউনে লাগা আগুন সাড়ে ১১ ঘন্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে সেটিও নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

এদিকে জেলা প্রশাসকের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরা নেমসন কনটেইনার ডিপোর পাশে এসএল গ্রুপের মালিকানাধীন ইউনিটেক্স গ্রুপের ভাড়ায় নেওয়া তুলার গুদামে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী বিশেষ টিম এসে পৌঁছেছে।

অগ্নি নির্বাপণে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মাহমুদের নেতৃত্বে একটি ফায়ার ফাইটিং ইউনিট কাজ শুরু করেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত এ টিম চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

তাছাড়া ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটের পাশাপাশি নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনীর ফায়ার ফাইটিং টিম দুর্ঘটনাস্থলে রিপোর্ট করছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।

এদিকে তুলার গোডাউনের অগ্নি দুর্ঘটনা তদন্তে ১০ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক বদিউল আলমকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা, শিল্প পুলিশের একজন প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের ডিআইজি, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সীতাকুণ্ড থানার ওসি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) প্রতিনিধি, বিস্ফোরক পরিদফতরের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল ম্যানুফেকচার অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমইএ) প্রতিনিধি।

আজ শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরা বাইপাস রোড সংলগ্ন হিঙ্গিরি পাড়া এলাকায় লোকমানের মালিকানাধীন ইউনোটেক্সের কাছে ভাড়ায় চালিত তুলার গোডাউনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাড়বকুণ্ডের ইউনিটেক্স কোম্পানির ভাড়াকৃত গুদামের টিনের চালে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করছিল শ্রমিকরা। এ সময় আগুনের স্ফুলিঙ্গ তুলার ওপরে পড়ে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করছে তারা।

ইউনিটেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারহান আহম্মদ বলেন, ‘গুদামের পাশেই ন্যামসন কন্টেইনার ডিপো রয়েছে। আমরা এটি নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম। গুদামে আমাদের প্রায় তিন হাজার টন তুলা ছিল। আমাদের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর