বিস্ফোরণে ঝলসে গেছে মুখ, দেহ দেখে স্ত্রী শনাক্ত করলো স্বামীকে
সেলিম রিছিল(৩৮)। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড প্ল্যান্টে ২০ বছর ধরে কারখানায় পণ্য ওঠানামার কাজ করতেন। ভয়াবহ বিস্ফোরণে সময় তিনি গুরুতর আহত হন। ঝলসে যায় মুখ। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনার পর মারা যান তিনি। গতকাল সন্ধ্যায় হাসপাতালে শ্বশুর দূর্জয় মারাথ তার খোঁজ চেয়েও পাননি। রোববার (৫ মার্চ) সকালে স্ত্রী নীলামা মারাথ মুখ ঝলসে যাওয়া স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করতে ছুটে আসেন হাসপাতালে।
এ সময় নিহতের শশুর দূর্জয় মারাথ বলেন, বিস্ফোরণের পর আহতদের হাসপাতাল আনা হয়। তখন আমি সন্ধ্যায় দিকে হাসপাতালে এসেছিলাম। আহত এবং নিহতের খবর নিয়েও সেলিমের খোঁজ পাইনি। সকালে আমার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আবার হাসপাতালে এসেছি। মুখ ঝলসে গেলেও শরীর চিনতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে চা বাগানে কাজ করেন। প্রতিদিন ১৭০ টাকা মজুরি পায়। এই সামান্য টাকা দিয়ে কীভাবে দুই ছেলে মেয়েকে মানুষ করবে। আমরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করি। কথা বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের এসআই (উপপরিদর্শক) মো. আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, যারা মারা গেছেন। আমরা গতকাল ডিএনএ টেস্ট করেছি। গতকাল ছয় জনের মানুষ পাঁচ জন পরিচয় শনাক্ত হয়েছিল। একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। ওই পরিবারের লোক জন এসেছেন। তারা মরদেহের শরীর দেখে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে। আমরা আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করছি।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কদমরসুলপুর (কেশবপুর) এলাকার সীমা অক্সিজেন লিমিটেড প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জেনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অন্তত ২০ জন।
নচ/মআ/চখ