chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি সাশ্রয় হলে কেউ বিদ্যুৎহীন থাকবে না

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সহনশীল পর্যায়ে এলে দেশের কেউ বিদ্যুৎহীন থাকবে না বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বেসরকারি খাতে দেশের সবচেয়ে বড় ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক এসএস পাওয়ার প্লান্টের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বেসরকারি খাতে এস এম পাওয়ার ওয়ান এত বড় একটি প্রকল্প আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আগামী মাসে প্রকল্পটি থেকে জাতীয় গির্ডে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। যতোই তাড়াতাড়ি প্রকল্পটি উৎপাদন হবে, ততোই দেশের বিদ্যুতের ঘাটতি দূর হবে। বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সহনশীল হলে কেউ বিদ্যুতের বাইরে থাকবে না।

বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে বাঁশখালীর গন্ডামারা এলাকায় স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এস আলম গ্রুপ ও চীনের সেপকো থ্রির যৌথ মালিকানাধীন।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টারা জানান,৬০৬ একরের বিশাল এলাকা জুড়ে প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি মূল উৎপাদনে গেলে ৪৫০ প্রকৌশলীসহ  ১ হাজার দুইশো থেকে তিনশো জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। প্রকল্পটিতে টারবাইন আছে দুইটি। প্রতি ঘণ্টায় ২৪০০ টন স্ট্রিম দিয়ে একটা টারবাইনে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।  সে হিসেবে দুইটি টারবাইনে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।  এর জন্য ঘণ্টা প্রতি ব্যয় হবে ২৯০ মেট্রিক টন কয়লা। এ জন্য ২৭৫ মিটারের একটি চিমনি রাখা হয়েছে। প্রকল্পটিতে দুইটি ইউনিট রয়েছে। প্রতিটি ইউনিটের  ৯ লাখ ৫০ হাজার টন কয়লার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।

এসএস পাওয়ার প্লান্টের প্রকল্পরা আরও জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রথমে সমুদ্র থেকে পানি নিয়ে যাওয়া হবে ওয়াটার ট্রিটমেন্টে। এরপর বয়লারে আনা হবে। কয়লার মাধ্যমে সৃষ্ট তাপ থেকে পানি বাস্প করে সেগুলো পাঠানো হবে টারবাইনে। টারবাইন ঘুরে যাবে জেনারেটরে। জেনারেটর চললে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। সেটা সরাসরি চলে যাবে জাতীয় গ্রিডে।

পরীক্ষামূলক কাজের জন্য আগামী ১৫ মার্চ ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রথম লটে আনা হবে ২০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা। এরপর আসবে ২ লাখ মেট্রিক টন কয়লা। পরে অস্ট্রেলিয়া থেকেও কয়লা আনার পরিকল্পনা রয়েছে। কমার্শিয়াল অপারেটিং ডেট (সিওডি) অনুসারে সরকারকে ৩১ মে থেকে অফিশিয়ালি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এর আগে মার্চে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়ায় ৫৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা করবে। এতে উৎপাদন করা বিদ্যুৎ ৯ টাকায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি থেকে আসা বিদ্যুৎ এখানে সুইচিং হবে। এরপর এস এম পাওয়ার উৎপাদন হওয়া বিদ্যুৎ চলে যাবে মদুনাঘাট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এই এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি এস আলম গ্রুপের ৬টি প্রতিষ্ঠান (ইকুইটির ৭০ শতাংশ), চীনের এসইপিসিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন, এইচটিজি ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে। এস এস পাওয়ার ও মাতারবাড়ি উৎপাদনে গেলে ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে সরকার।

 

আরকে/ সাআ / চখ

 

 

এই বিভাগের আরও খবর