chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএফ সদস্য নিহত

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এক সদস্যের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ রবিবার দুপুরে উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের মুনওয়ামপাড়া থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে রুমা থানা পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি বন্দুকসহ ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জুয়াল উপজেলার আরথাপাড়ার ওয়াংকলিয়াং বমের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গোপন সংবাদে রোয়াংছড়ি-রুমা ও থানচি উপজেলায় জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। ২০ অক্টোবর ওই সব এলাকা থেকে সাত জঙ্গি সদস্য ও তিনজন কেএনএফ সদস্য এবং ১১ জানুয়ারি আরও ৫ জঙ্গি সদস্যকে আটক করা হয়।

শনিবার রুমার মুয়ালপিপাড়া এলাকায় অবস্থান নেন কেএনএফ সদস্যরা। এ সময় পাড়ায় বসবাসরত ৫২ পরিবারকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন তারা। প্রাণের ভয়ে পাড়া ছেড়ে ৪০ পরিবার আশ্রয় নেয় রুমা মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে। বাকিরা বিভিন্ন পাড়ায় অবস্থান নেয়। এ দিন দুর্গম পাহাড়ে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।

রবিবার সকালে একই ইউনিয়নের মুননোয়াম পাড়ায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

জেলা পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, নিহত কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রুমার ইউএনও মামুন শিবলী বলেন, দু’দিন ধরে পাইন্দু ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পাহাড়ে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করায় কেএনএফ সদস্যরা কয়েকটি দুর্গম পাড়ায় আশ্রয় নেয়।

এসব পাড়ার ভেতর থেকেই তারা সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এর ফলে নিরীহ গ্রামবাসী আতঙ্কে প্রথমে বন ও ঝিরিতে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে শনিবার সন্ধ্যায় মুয়ালপিপাড়ার মারমারা রুমা বাজারে এসে আশ্রয় নেয়।

ইউএনও জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করে পরিবারগুলোকে মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের হলরুমে রাখা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের খাবার, কম্বল ও বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য : রুমা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে মুয়ালপিপাড়া গ্রাম। ওই গ্রামে বম সম্প্রদায়ের ৮০টি ও মারমা সম্প্রদায়ের ৫১টি পরিবারের বসবাস। গ্রামটি দুর্গম এলাকায় হওয়ার কারণে ওই এলাকা দিয়ে কেএনএফ সদস্যরা প্রতিনিয়ত চলাফেরা করত। তাদের এই চলাচলের কারণে গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়েন।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর