chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

জন্মনিবন্ধন চক্রের আরও দুই সদস্য ধরা

চসিকের আইডি সার্ভার হ্যাক করে জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতি চক্রের আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপির) কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি সিপিইউ, ২টি মনিটর, ২টি প্রিন্টার এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন, মনি দেবী ও মো. রাকিব হোসেন হিমেল।

এর আগে গেল ২৪ জানুয়ারি সিএমপির দামপাড়া পুলিশ লাইনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জন্মনিবন্ধন জালিয়াতির চক্রের চার সদ্যসকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিল কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে জন্মনিবন্ধন জালিয়াতিতে একাধিক চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে জানানো হয়। প্রতিটি চক্রে ৩০ থেকে ১০০ জন সদস্য রয়েছে। এরা স্বাভাবিক সময়ে একটি জন্মনিবন্ধন তৈরিতে ৫০০ এবং একদিনের মধ্যেই নিতে ৮০০ টাকা নিয়ে থাকে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নগরের দক্ষিণ কাট্টলীর ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে এক নারীর অবৈধভাবে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির আপলোড করা ৪০৯টি সনদের মধ্যে একটি তার বিষয়ে জানতে পারেন।  তিনি গতকাল কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগে অভিযোগ করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে নগরের ইপিজেড এলাকা থেকে মনি দেবী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। মনি দেবী জিজ্ঞাসাবাদে জানায় প্রথম জন্মনিবন্ধন সনদ থাকার পরও নামের টাইটেল পরিবর্তন ও বয়স কমিয়ে সঠিক তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় বার সনদ সংগ্রহ করেছেন। মনি দেবীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই এলাকা থেকে কম্পিউটার দোকানদার মো. রাকিব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্ম সনদ জালিয়াতির মামলা রয়েছে।

কাউন্টার টেরোরিজম কর্মকর্তারা জানান,  বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা অন্যান্য সদস্যেদের সহায়তায় ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এ পর্যন্ত তারা একাধিক ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ সৃজন ও বিতরণ করেছেন। সরকার নির্ধারিত ওয়েব সাইটে ব্যক্তির ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে প্রাথমিক নিবন্ধন করে। নিবন্ধন শেষে চক্রের অপর সদস্যদের ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তথ্য প্রদান করে। জাল জন্মসনদ তৈরি করে চক্রের সদস্যদের অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন সার্ভারে প্রবেশ করে পুনরায় চক্রের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।

 

আরকে/ চখ

এই বিভাগের আরও খবর