chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

‘অযৌক্তিক ও গণবিরোধী’ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিন্দা বিভিন্ন দল ও সংগঠনের

শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের মূল্য রেকর্ড ৮২ শতাংশ বৃদ্ধিকে ‘অযৌক্তিক ও গণবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন দল ও সংগঠন।তারা অবিলম্বে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির এই ‘অযৌক্তিক ও গণবিরোধী‘ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ।

আজ বৃহস্পতিবার পৃথক বিবৃতিতে বিভিন্ন দল ও সংগঠনের নেতারা বলেন, গ্যাসের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ ও বিদ্যুৎসহ সব পণ্যের দাম বাড়বে। অনেক ক্ষুদ্র শিল্প বন্ধ হবে, বেকারত্ব বাড়বে। এতে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে। সাধারণ মানুষের ঘাড়ে আবারও এর বোঝা চাপানো হবে। এ ধরনের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এখনই রুখে না দাঁড়ালে মূল্যবৃদ্ধির উৎসব চলতেই থাকবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকার গত ১৪ বছরে ৮ বার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করলো। এবার বিইআরসির ক্ষমতা খর্ব করে নির্বাহী আদেশে দাম বৃদ্ধি করেছে, যা সরকারের জবাবদিহিহীনতার চরম বহিঃপ্রকাশ।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়, আইএমএফ-এর শর্ত পূরণ করতেই গ্যাসের এই মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশের অতীত অভিজ্ঞতাই বলে আইএমএফ-এর শর্ত মেনে ঋণ নেওয়ার পরিণাম দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনেনি, বরং জনগণের ঘাড়ে নিত্য-নতুন বোঝা চাপিয়েছে। বিইআরসিকে পাশ কাটিয়ে সরকার নতুন আইনের ক্ষমতাবলে গ্যাস-বিদ্যুতের ক্ষেত্রে যে মূল্যবৃদ্ধি ঘটালো তা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, গত সাতদিন আগে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পর সরকার এবার গ্যাসের দাম বাড়ালো। গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ বাড়বে, ফলে আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াবে। এভাবে চক্রবৃদ্ধি আকারে জ্বালানির দাম বাড়িয়ে সরকার সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে জনগণের বেঁচে থাকাকেই দায় করে তুলছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবি’র সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদের (মাকসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স পৃথক বিবৃতিতে বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার এই সময়ে মানুষকে রেহাই দেওয়া দরকার ছিল। কিন্তু সরকার গ্যাসের মূল্য বাড়িয়ে মানুষকে আরও ভোগান্তিতে ফেলল। অথচ দুর্নীতি, টাকা পাচার ও লুটপাট থেমে নেই। এসব অর্থ উদ্ধারে সরকারের নজর নেই।

নেতারা এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ভুলনীতি ও দুর্নীতি পরিহার, অপচয় ও অব্যবস্থাপনা বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দেশের স্থল ও সমুদ্রভাগের গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

 

সাআ / চখ

এই বিভাগের আরও খবর