chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী : কৃষিমন্ত্রী

পাকিস্তানিরা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের প্রভু বলেছেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এজন্য একই কথা বারবার বলছে। তারা সেই ধারায় সব সময় চলতে চায়। বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ীই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা হলরুমে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক সুশৃংখল, অনেক সক্ষম। তাদের দায়িত্ব দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা। সামরিক বাহিনী এবং অন্যান্য সিভিল প্রশাসন এটা মোকাবেলা করবে। এখানে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব হবে প্রশাসনকে সহযোগিতা করা। আমরা সেটা রাজনৈতিকভাবে করবো।

বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এসব উন্নয়ন কাজের কোন বিকল্প নেই। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও বিএনপি-জামায়াত দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বানচাল করতে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করতে তৎপর রয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের অপতৎপরতা রুখতে হবে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, সংবিধানে সুস্পষ্ট লেখা আছে, যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে সেই সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আইজিপি, চিফ অব স্টাফ সকলের দায়িত্ব হবে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করা। কাজেই এ দেশে সুষ্ঠ, সুন্দর নির্বাচন হবে এর নিশ্চয়তা দিতে পারি।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৫ সালের মতো ৯০ দিন একটানা হরতাল, অবরোধ, গাড়িতে আগুন দেয়া, মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা, রেললাইন তুলে ফেলা, বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয়া- এগুলোর পুনরাবৃত্তি ইনশাল্লাহ আর হবে না। কঠোর হস্তে এগুলো মোকাবেলা করা হবে।

তিনি বলেন, দেশ বর্তমানে উন্নয়নের যাত্রায় রয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাকে আমরা অব্যাহত রাখতে চাই। উন্নয়নের মহাসড়কে আমরা রয়েছি। এটাকে আরো গতিময় করতে চাই, আরো বেগবান করতে চাই। আমরা দুই-আড়াই বছর হারিয়েছি করোনা মহামারির জন্য, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের জন্য। আর একটি দিনও নষ্ট করার কোন সুযোগ নেই। কোন হরতাল, অবরোধ করতে দেয়া হবে না, কঠোর হস্তে সব মোকাবেলা করা হবে।

মধুপুর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সাআ/ চখ

 

 

এই বিভাগের আরও খবর