chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রাজ আমার কথা শুনছে :  পরীমনি

বছরের শুরুতে হঠাৎ করেই ফাটল ধরে ঢাকাই ছবির তারকা দম্পতি শরীফুল রাজপরীমনির সম্পর্কের । বসুন্ধরার বাসা থেকে দুজনই বেরিয়ে যান। দুজনের সম্পর্ক নিয়ে সপ্তাহখানেক ধরে টানাপোড়ন চললেও পরে আবার জোড়া লেগেছে। এখন তাঁরা এক বাসায়, একসঙ্গে বসবাস করছেন ।

বাসায় ফেরার পর পরীমনি জানিয়েছিলেন, সন্তানের দিকে তাকিয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে রাজকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাঁদের সুন্দর জীবনের জন্য রাজকে নিজের কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। সেভাবেই তাঁকে বোঝাচ্ছেন পরীমনি।

এ পর্যায়ে এসে পরীমনির সেই চেষ্টার ফলাফল কতটুকু? জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, ‘প্রথম দিকে বোঝানোর সময় রাজ একটু পাগলামি করেছে। বেশ কয়েক দিন হয়ে গেল আস্তে আস্তে তার নিজের ভালো বুঝতে পারছে। এখন মোটামুটি ঠিকঠাক হয়েছে সে। আমার কথা রাজ শুনছে। এক দিনে তো আর সব অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারবে না, একটু সময় তো লাগবেই।’

২০ জানুয়ারি পরীমনির নতুন সিনেমা ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ মুক্তি পাচ্ছে। বেশ আগে থেকেই ছবিটির প্রচারে আছেন পরীমনি। এরই মধ্যে ঢাকায় বেশ কয়েকটি স্কুলে প্রচার চালিয়েছেন। শিগগিরই চট্টগ্রামে যাবেন। সিনেমার প্রচারেও সন্তানকে সঙ্গে রাখেন ঢাকাই ছবির এই নায়িকা।

পরী জানালেন, ছবির প্রচারের সময় রাজ্য কান্নাকাটি বা অন্য কোনো সমস্যা করে না। মনে হয়, যেন উপভোগ করে সে। তিনি বলেন, ‘জন্মের পর থেকে পাঁচটা মিনিটও রাজ্যকে ছাড়া থাকিনি। যতই ঝামেলা হোক না কেন, বুকে করে রাখি। বাইরে বের হলে বাবা–মায়েরা ছোট বাচ্চার জন্য ট্রলি ব্যবহার করেন, আমি করি না। আমার কাছে মনে হয়, বড় হয়ে গেলে তখন তো আর বুকে, কোলে নিতে পারব না, তাই এখন মিস করি না। হা হা হা…।’

এ দিকে ১০ জানুয়ারি সন্তান রাজ্যের বয়স ৫ মাস পূর্ণ হয়েছে। দুজন মিলে বাসায় কেক কেটে সন্তানের বয়স উদ্‌যাপন করেছেন তাঁরা।

পরীমনি বলেন, ‘রাজ রঙিন বেলুন দিয়ে ঘর সাজিয়েছিল। রাতে আমরা দুজন মিলে বাবুকে সঙ্গে করে কেক কেটেছি। প্রতিদিনই যেন একটু করে রাজ্য বড় হচ্ছে। এই তো সেদিন রাজ্যের জন্ম হলো, দেখতে দেখতে পাঁচ মাস হয়ে গেল, ভাবলে অবাক লাগে! মনে হচ্ছে, প্রতিদিনই একটু একটু করে রাজ্য বড় হচ্ছে। শুয়ে শুয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন অ্যাক্টিভিটি করছে। তার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে সেসব দেখি, কী যে ভালো লাগে।’

রাজ্যের ‘পরিবর্তন’ নিয়ে পরীমনি আরও বলেন, ‘সপ্তাহখানেক হলো রাজ্যের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে। আগে তো সারা রাত ঘুমাত। সকাল ছয়টায় উঠে পড়ত। এখন সারা রাত জেগে থাকে, সকালে ঘুমায়। আমাদের দুজনকেও জেগে থাকতে হয়।’

সম্পর্ক জোড়া লাগার পর বেশ কয়েক দিন ধরে শোনা যাচ্ছে রাজ ও পরীমনি সময় কাটাতে দুবাইয়ে যাচ্ছেন। গণমাধ্যমে এ–সংক্রান্ত খবরও বেরিয়েছে। কিন্তু এখন পরী বলছেন, দুবাইয়ে যাচ্ছেন না তাঁরা।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরী বলেন, ‘যাওয়ার কথা ছিল, এখন আর যাচ্ছি না। তবে রাজ এর বাইরে আমাকে তিনটি দেশের নাম দিয়েছে, যেকোনো একটা দেশে যাব। কোন দেশ, এখনই বলছি না।’

পরীমনি আরও বলেন, ‘দেশের বাইরে মজা করতে যাচ্ছি না আমরা। বাবুকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম দেশের বাইরে যাব। সেই অসিলায় একটু ঘোরাঘুরি হবে। তা ছাড়া আমাদের মধ্যে একটু ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছিল, এখন ঠিকঠাক হয়েছে। একসঙ্গে কিছুদিন দেশের বাইরে থাকলে সম্পর্কের জায়গাটা আরও শক্তিশালী হবে।’

কবে যাচ্ছেন? জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, ‘রাজের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ। নতুন করে করতে হচ্ছে। রাজ্যের জন্যও করতে হচ্ছে। পাসপোর্ট যত তাড়াতাড়ি পাব, তত তাড়াতাড়ি আমরা বেরিয়ে পড়ব।’

 

সাআ / চখ

এই বিভাগের আরও খবর