ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার বিরুদ্ধে ‘উসকানিমূলক’ ও ‘হিংসাত্মক’ বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
একইসাথে ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ দুই রাজনৈতিক সহযোগী ফাওয়াদ চৌধুরী ও আসাদ ওমরের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
আসাদ ওমর এক টুইটে এতথ্য জানিয়ে লেখেন ইমরান খান, আমি এবং ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনার নিসার দুররানির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের একটি বেঞ্চ এই পরোয়ানা ইস্যু করেন।
সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কের এই অবনতির জেরেই ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল পার্লামেন্টে এক অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান ইমরান খান।
ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই আগাম নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করা ইমরান ও তার দল পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতারা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন।
পিটিআইয়ের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ইমরান খান প্রকাশ্যে বলেন—নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজা পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের ‘আজ্ঞাবহে’ পরিণত হয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে অবিলম্বে আন্দোলন শুরু করার হুমকিও দিয়েছিলেন পিটিআই চেয়ারম্যান।
ইমরান ও তার দলের এসব অভিযোগের জবাব চেয়ে গত বছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে পিটিআই চেয়ারম্যান ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ২ দফায় নোটিশ জারি করে নির্বাচন কমিশন।
সেই নোটিশের শুনানির জন্য বেশ কয়েকবার দিনও ধার্য করা হয়েছিলো; কিন্তু ইমরান খান বা তার সহযোগীরা শুনানির জন্য নির্ধারিত দিনগুলোতে কমিশন কার্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।
এই অনুপস্থিতির কারণে তাদের ওপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে বলে গত মাসে সতর্কবার্তাও দিয়েছিলো কমিশন। শেষে মঙ্গলবারের শুনানিতেও তারা অনুপস্থিত থাকায় পরোয়ানা জারি করলেন কমিশনের বিচারক বেঞ্চ।
চখ/আর এস