chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

দু মুঠো খেতে টাকা নয় লাগে ভালো কাজ

চট্টগ্রামের কাজীর দেউরিতে প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত দু্ইশো থেকে আড়াইশোর মতো মানুষকে খাওয়ানো হয়। তার বিনিময়ে একটি টাকাও নেওয়া হয় না। মানুষের উপকার হয় এমন কাজ করে পেট ভরে খাওয়া যায় এখানে। মানুষের মধ্যে ভালো কাজ ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে গড়ে উঠেছে ‘ভালো কাজের হোটেল’।

খোঁজ নিয়ে জানা গেলো শুধু চট্টগ্রাম নয় তাদের আরও ঢাকায় ৫টি শাখা রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে খাওয়ানো হয়। ‘ভালো কাজের হোটেল’ ২০০৯ সালে ৫ ডিসেম্বর ঢাকা রেলস্টেশনে যাত্রা শুরু করে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র ঈদ, সরকারি ছুটিগুলোতে পথশিশু, এতিমখানা ও ভবঘুরেদের একবেলা খাওয়ানো হত। ২০১৯ সালে এসে সপ্তাহে একদিন, করোনাকাল থেকে প্রতিদিন খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ঢাকায় ৪০০ জন, চট্টগ্রামে ৫০ জন সদস্য স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছেন। ঢাকায় কমলাপুর রেল স্টেশন, কারওয়ান বাজার, বনানী, খিলগাঁও, সাতরাস্তা মোড়ে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে খাবার বিতরণ করা হয়। ঢাকায় প্রতিদিন কার্যক্রম চালালেও চট্টগ্রামে অর্থের অভাবে প্রতিদিন করতে পারছে না।

এ প্রসঙ্গে ‘ভালো কাজের হোটেলে’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আরিফুর রহমান বলেন, ঢাকায় প্রতিদিন ৫টি জায়গায় খাবার বিতরণের কাজ চলে। চট্টগ্রামে প্রতি সপ্তাহে শুধুমাত্র একবার করে বিতরণ কার্যক্রম চালাতে পারি। আমরা চট্টগ্রামেও প্রতিদিন কাজ চালিয়ে যেতে চাই। কিন্ত পর্যাপ্ত অর্থের সংকটে আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারছি না। চট্টগ্রামের মানুষের সহোযোগিতাটা প্রযোজন পড়েছে। আশা করি তারা আামাদের সাথে থাকবেন।

`ভালো কাজের হোটেল‘র অর্থ সংগ্রহ নিয়ে চট্টগ্রামের সেচ্ছাসেবক মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, এই  উদ্যোগ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ‘ডেইলি টেন মেম্বার’ নামে একটি ইভেন্ট খোলা হয়েছে। সেখানে বর্তমানে সারাদেশের  প্রায় ১ হাজার ৯০০ জন সদস্য রয়েছেন। তারা প্রতিদিন ১০ টাকা করে জমা দেন। প্রতি মাসে একেক মেম্বার সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা করে জমা দেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি এককালীন চাঁদা দিয়ে থাকেন। জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীসহ প্রিয়জনদের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ করা এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেন। সেই টাকা দিয়ে খাবার বিতরণের কাজটি করা হচ্ছে।

তবে চট্টগ্রামে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ জন সদস্য রয়েছে। আমরা চাই তরুণরা এগিয়ে আসবেন। সবাই মিলে চট্টগ্রামের অসহায়দের মুখে প্রতিদিন অন্ন তুলে দিতে পারবো।

নচ/চখ

 

 

এই বিভাগের আরও খবর