chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চমেকে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধিতে রোগীদের বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থাপন করা স্যান্ডর ডায়ালাইসিস সেন্টারে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভ হয়েছে। আজ রবিবারও সে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন রোগীর স্বজনরা।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে এ বিক্ষোভ শুরু হয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হাফিজ বলেন, আমি ২০২০ সাল থেকে ডায়ালাইসিস চিকিৎসা নিচ্ছি। তখন এক ডায়ালাইসিসে খরচ পড়ত ৪৮৬ টাকা। তা বছরে ৫ শতাংশ বেড়ে বেড়ে ২০২২ সালে হয় ৫৩০ টাকা। কিন্ত এ বছর তা বেড়ে তা প্রায় ৩ হাজারের মতো হয়েছে। আগে আমার এক মাসে খরচ হতো ৪ হাজার ৮০ টাকা। কিন্ত তা এখন বেড়ে ১৩ হাজার ৮০০ টাকা হয়েছে। আমার পক্ষে এত টাকা খরচ করা সম্ভব নয়। ফি না কমালে বিনা চিকিৎসায় মারা যাব। আগের ফি বহালের দাবী জানায়।

 

রোকসানা নামে আরেক জন মহিলা বলেন, আমরা এখানে টাকা দিয়ে চিকিৎসা করতে আসি। কিন্ত এখানে কর্মরত নার্স, ডাক্তার, অন্যান্য কর্মীরা আমাদের সাথে যে দুর্ব্যবহার করেন তা মেনে নেওয়া যায়না। আমরা ফি কমানোর সাথে সাথে ভালো ব্যবহার পেতে চায়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারিভাবে প্রতি ডায়ালাইসিস সেশনে গত বছর নিয়মিত ফি ছিল ২৭৯০ টাকা। আর সরকারি ভর্তুকি প্রদত্ত সুবিধায় সেশন প্রতি ৫১০ টাকায় সেবা গ্রহণের সুযোগ পেতেন গরীব ও অসহায় রোগীরা। এর বাইরে মুক্তিযোদ্ধা ও অতি দরিদ্র কিছু রোগী ফ্রিতে এ সুবিধা পেয়ে থাকেন।

যদিও ফ্রি সেশনের সংখ্যা খুবই কম। সারা বছরে সাড়ে ছয়শ সেশন ফ্রির সুবিধা প্রদানের সুযোগ রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ।

তবে সেশন প্রতি নির্ধারিত এ ফি বছরে ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায়। পিপিপি’র (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) আওতায় সরকার ও স্যান্ডরের করা চুক্তিতে ফি বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করা আছে। সে হিসেবে ভর্তুকি প্রদত্ত সেশন প্রতি ফি গত বছরের ৫১০ টাকার স্থলেএবার ৫৩০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আর বেসরকারি ফি ২৭৯০ টাকার স্থলে দাঁড়িয়েছে ২৯৩০ টাকা ।

এর আগে, কম ফি’র সুবিধায় যারা ডায়ালাইসিস সেবা পাবেন, তাদের সিডিউল দেয়ার কথা ছিল গতকাল শনিবার। এই সিডিউল নিতেই ডায়ালাইসিসের রোগী ও তাদের স্বজনরা গতকাল হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয়ে আসেন। সেখানে ফি বৃদ্ধির বিষয়টি নজরে আসার পর তারা বিক্ষোভ করেন। আজ দ্বিতীয়বার বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন তারা।

এ প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান চট্টলার খবরকে বলেন,  এই ফি তো চমেক বাড়িয়ে দেয়নি। এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সাথে চুক্তি করেছে। সেই চুক্তি মোতাবেক বছরে ৫ শতাংশ বাড়ে। বাড়তি ফি এভাবে বেড়েছে। এখানে হাসপাতালের কোনো এখতিয়ার নেই।

নচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর