chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষা বই পেল ৬৯ হাজার শিক্ষার্থী

বছরের প্রথম দিন পাহাড়ের কোমলমতি শিশুদের মুখে হাসি ফুটল। মাতৃভাষায় রচিত নতুন বই পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

গেল রোববার পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ৬৯ হাজার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীর মাঝে মাতৃভাষায় রচিত নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ির প্রায় ৩৯ হাজার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাঝে মাতৃভাষায় রচিত নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল জেলার বিভিন্ন স্কুলে চাকমা ভাষায় রচিত ৩৮ হাজার ৬৮টি বই, মারমা ভাষায় রচিত ২২ হাজার ৫শ ৩৫টি বই ও ত্রিপুরা ভাষায় রচিত ২৬ হাজার ৩শ ৯৮টি বই বিতরণ করা হয়। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত মাতৃভাষায় রচিত বই দেয়া হয়। এছাড়া প্রাক প্রাথমিকে ২০ হাজার ১শ ৪৬টি মাতৃভাষায় রচিত বই বিতরণ করা হয়। খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, এছাড়া জেলায় ৭০৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৩২জন শিক্ষার্র্থীর মাঝে ৪ লাখ ২৭ হাজার ৬শ ৯২ টি বই বিতরণ করার কথা থাকলেও বছরের প্রথম দিনে বিতরণ করা হয় ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬শ ৫৯টি বই। নতুন বই আসার পর পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।

রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, গতকাল রাঙামাটিতে ৩০ হাজার ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীর শিক্ষার্থী পেয়েছে মাতৃভাষার বই। বছরের প্রথম দিন বই পেয়ে অত্যন্ত খুশী ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীর ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে তাদের স্ব–স্ব মাতৃভাষার বই প্রদান করা হয়েছে। সকালে রাঙামাটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও রানী দয়াময় উচ্চ বিদ্যালয়ের বই বিতরণ করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসরিন সুলতানা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মৃদুল কান্তি তালুকদার প্রমুখ। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, নতুন বছরে প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পেরে আনন্দিত।

রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ শিক্ষা বর্ষে প্রাক–প্রাথমিক থেকে ৩য় শ্রেণীর চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীর ২৯ হাজার ৮০৬ জন শিশু ৬৬ হাজার ২৫০টি মাতৃভাষার বই পেয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণীর শিশুরাও মাতৃভাষায় বই পাচ্ছেন। ৫টি মাতৃভাষায় বই দেওয়া হলেও পাহাড়ের চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা শিশুরা বই পাচ্ছে। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সাধারণ শিক্ষায় জেলার ১০ উপজেলায় প্রাক–প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ৮৯ হাজার ১৫০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৫২৯টি বই বিতরণ করা হবে। জেলায় বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭০৭টি।

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর