chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মাটির নিচে মিলল নিখোঁজ শিশু আরিফুজ্জামানের লাশ

নিখোঁজের প্রায় ৫৬ ঘন্টা পরে পুলিশের সাবেক এক গাড়িচালকের বাড়ির আঙ্গিনার মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরিফুজ্জামান ইসলাম নামে এক শিশুর বস্তাবন্দী লাশ।

গত ৪ ডিসেম্বর রবিবার রাত সোয়া ১২টায় দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পাকেরহাট এলাকার পুলিশের সাবেক গাড়িচালক আব্দুস সালামের বাড়ির আঙ্গিনায় মাটি খুঁড়ে বস্তায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আরিফুরজ্জামান ইসলাম উপজেলার খামারপাড়া ইউপির কায়েমপুর ডাক্তারপাড়া গ্রামের আতিউর রহমানের ছেলে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে উপজেলার কায়েমপুর মাস্টারপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে সরিফুল (২৩) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

শিশুর পরিবার ও খানসামা থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ডিসেম্বর বিকালে কায়েমপুর গ্রামে বাড়ির পাশে খেলার সময় মাঠ থেকে নিখোঁজ হয় আরিফুজ্জামান।

এরপর রাত প্রায় ৮টার দিকে মুঠোফোনে একটি নম্বর থেকে শিশু আরিফুজ্জামানের পিতাকে ফোন করে অপহরণের কথা অবগত করে এবং এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ওই রাতেই শিশুর পিতা আতিউর থানায় একটি জিডি করেন।

পরে মুঠোফোনের নম্বর ও প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত সন্দেহে একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৩) কে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করে থানা পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে সে শিশু আরিফুজ্জামানকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে বস্তায় ভরে মাটিতে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে।

এরপর শরিফুলের দেয়া ঠিকানায় গিয়ে পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে বাড়ির আঙ্গিনায় মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দী হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শিশু আরিফুজ্জামানের লাশ উদ্ধার করে।

খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় জানান, ঘটনাটি অবগত হওয়ার পর থেকেই শিশুকে উদ্ধারে পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ চালিয়ে যায়। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্দেহজনক হিসেবে শরিফুলকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে অপহরণ ও হত্যার মামলা করেছেন। সেই মামলায় শরিফুলকে আদালতে পাঠানো হবে।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর