chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ভোরের আলো ফুটতেই আওয়ামী লীগের জনসভায় নেতাকর্মীদর ভিড়

হাতে বঙ্গবন্ধুর ছবি, পরনে বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট। কারো হাতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি, কেউবা ধরে আছেন লাল-সবুজ পতাকা। কেউ আবার পছন্দের নেতার নামে দিচ্ছেন স্লোগান। দলীয় প্রতীক নৌকার পালে লেগেছে হাওয়া। বাদ্য যন্ত্রের তালে তালে মিছিল গিয়ে মিশছে নগরের পলোগ্রাউন্ডের মুখে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সর্বত্রই  এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। সমাবেশ দুপুরে, তবে ভোরের আলো ফুটতেই দলে দলে মানুষ ছুটছেন সমাবেশের মাঠের দিকে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ব্যানার-ফেস্টুন আর স্লোগানে মাতিয়ে রাখছেন আশেপাশের এলাকা।

বোরবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টায় শুরু হবে আওয়ামী লীগের জনসভা। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায়  বক্তব্য রাখবেন। এর আগে তিনি সকালে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছান। সকাল আটটার দিকে খুলে দেওয়া হয় জসসভার মাঠ। এরপর থেকে একেক এক নেতার অনুসারীরা বিভিন্ন রঙে নিজেদের জানান দিয়ে আসছেন সমাবেশের মাঠে। নগরের বিভিন্ন মোড়ে মানুষের উপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা থেকে জনসমাবেশে অংশ নেওয়া এক কর্মী বলেন, সকালে চট্টগ্রামে আসার জন্য রওয়ানা হয়েছি। আমাদের উপজেলা থেকে ২৫ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন। রাউজানের সাংসদ ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ জনসভাবেশে আসতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য সবাই এক সঙ্গে চলে এসেছেন।

দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের ১৫ টি ইউনিয়নের ১০ হাজারের বেশি মানুষ সমাবশে অংশ নিয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেল ৩ টার দিকে তারা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ২৫ টি ট্রলার ভাড়া করে ৮০ টি বাসে এসব নেতাকর্মীরা সমাবশে জড়ো হয়েছে। এ দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিজান নামে এক যুবক। তিনি বলেন, আমরা জেটিতে সাগর পারাপার করলেও সেখানে প্লাটুন নেই। সমুদ্রে পথেই আমাদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যোগাযোগ ব্যবস্থার দাবি নিয়ে এসেছি।

এদিকে জনসভা সফল করতে পুলিশর সাড়ে সাত হাজারের বেশি সদস্য মাঠে নিয়োজিত রয়েছে। এর পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।

আরকে/মআ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর