chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বাবার পর মাকে হারিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করছে রুহান

বাবার পর মাকে হারিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে প্রাইভেটকার চাপায় নিহত রুবিনা আক্তারের ১২ বছরের শিশু সন্তান রুহান। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) থেকেই বাকরুদ্ধ শিশুটি।

আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) মরদেহ নিতে এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। এসময় তারা ঘাতক চালক সাবেক শিক্ষক জাফর শাহের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন।

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের মর্গের সামনে হৃদয়বিদারক পরিবেশ। প্রাইভেটকার চাপায় নিহত রুবিনা আক্তারের মরদেহ নিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন ছোট বোন লিপি। মাত্র ১২ মাস আগে বাবাকে হারানোর পর মায়ের আকস্মিক মৃত্যুতে অস্বাভাবিক আচরণ করছে তাদের ১২ বছরের ছেলে রুহান।

স্বজনরা জানান, গাড়ি চাপা পড়ার ৫ মিনিট আগেও ছোট বোনকে ফোন দিয়ে রুবিনা জানিয়েছিলেন, বাড়ি ফিরে সন্তানসহ সবাইকে নিয়ে শপিংয়ে যাবেন। কিন্তু কে জানতো তিনি আর বাড়ি ফিরবেন না।

লিপি বলেন, আমাকে ৫-৬ মিনিট আগে ফোন করে করে বলছে আপু তুমি থাকো আমি আসছি। তোমাকে নিয়ে আমি মার্কেটে যাব কিছু কেনাকাটা করব। রুহান তার বাবাকে হারিয়েছে এখন মাকে হারানোর খবর শোনার পর অ্যাবনরমাল হয়ে গেছে।

রুবিনার তেজঁকুনি পাড়ার বাসাজুড়ে শুধুই শূন্যতা। মর্মান্তিক মৃত্যুতে হতবাক প্রতিবেশীরাও। এক প্রতিবেশী বলেন, রুহানের আম্মা এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে আমরা এটা কখনও ভাবিনি।

গাড়ির নিচে আটকা পড়ার পর বহু মানুষ প্রাইভেটকার চালককে গাড়ি থামানোর জন্য বললেও, নির্মমভাবে জাফর গাড়িটি চালয়ে যান। গণপিটুনিকে আহত চালকের চিকিৎসা শেষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, অনেক মানুষ চালককে গাড়িটি থামানোর জন্য বারবার বললেও আসামি জাফর শাহের বেপরোয়া ও নির্মমভাবে গাড়ি চালানোয় প্রাণ হারিয়েছেন রুবিনা হক।

তিনি বলেন, পরিবারের করা মামলায় জাফরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। চিকিৎসা শেষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

শুক্রবার দুপুরে মোটরসাইকেলে ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন রুবিনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত শিক্ষক জাফর শাহ গাড়ি না থামিয়ে তাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার পরই মারা যান রুবিনা।

এই বিভাগের আরও খবর