chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আয়াতের বাবাকে ১২ টুকরো করে হত্যার হুমকি

চট্টগ্রামে অপরহরণের ১০ দিন পর হত্যার শিকার আয়াতের বাবা সোহেল রানাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে একটি নম্বর থেকে এই হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

অজ্ঞাত নম্বর থেকে দেওয়া হুমকিতে, আয়াতের বাবাকে হত্যার পর ১২ টুকরো করা হবে বলে শাসানো হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে এই অভিযোগ করেন তিনি। এরপর নতুন করে আয়াত হত্যা নিয়ে আলোচনার জন্ম দেয়। নতুন করে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে শোক সন্তপ্ত পরিবারে।

হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে আয়াতের বাবার সোহেল রানা বলেন, অপরহরণের পর মেয়েকে ছয় টুকরো করে হত্যা করা হয়েছে। এখন আমাকে মেসেজ দিচ্ছে, আমাকে (হুমকি দেওয়া) চিনে রাখ। তোর মেয়েকে ছয় টুকরো করেছি, তোকে ১২ টুকরো করবো।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, হুমকির এক পর্যায়ে বলছে সে আয়াতকে মারার জন্য আবিরকে বলেছিল। হত্যার পর আবিরকে পালিয়ে যেতে বলেছিল। হুমকির পর আমরা উৎকণ্ঠার মধ্যে আছি। আয়াতকে হত্যার পেছনে এখানে কোনো চক্র থাকতে পারে। আমি পিবিআইকে বিষয়টি জানিয়েছি।পিবিআই বললে থানায় জিডি করবো।

এদিকে আয়াতের বাবাকে নগরের ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার কথা জানিয়েছেন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মনোজ কুমার দে। তিনি বলেন, হুমকির বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে থানায় জিডি করতে বলেছি। আয়াতের পরিবারকে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।

এদিকে হত্যার পর আয়াতের শরীরের ছয় টুকরো খন্ডিতাংশের অবশিষ্ট অংশ উদ্ধারের কাজ চলছে বলেও জানান পিবিআই পরিদর্শক মনোজ কুমার দে।

গেল ১৫ নভেম্বর নগরের ইডিজেড থানার বন্দরটিলা নয়ারহাট অফিস এলাকার বাসা থেকে নিখোঁজ হয় পাঁচ বছরের শিশু আলিনা ইসলাম আয়াত। তার খোঁজ না পেয়ে থানায় জিডি করে তার বাবা। তদন্তে নেমে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আবীর আলী নামে এক যুবককে আটক করা হয়। ওই যুবক আয়াতের পরিবারের সাবেক ভাড়াটিয়া। আয়াত আবীরকে ‘চাচু’ বলে ডাকতো।

তদন্ত সংস্থার পিবিআয়ের দাবি, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে আবীর খুন ও ছয় টুকরো করে মরদেহ পানিতে ভাসিয়ে দেয় বলে জানায়। সে আয়াতের পরিবারের কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণের জন্য অপরহরণের কথা জানায়। তবে আয়াতের চিৎকার শুরু করায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

এরপর আবীরকে দু দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। এক পর্যায়ে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খন্ডিত মরদেহ উদ্ধারে সাগরপাড়ে অভিযানে যায় পিবিআই। তবে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার সাতদিনের রিমান্ড পায় পুলিশ। দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডের প্রথম দিনে আবাীরের মা-বাবা ও বোনকে আদালতে সোর্পদ করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পিবিআইয়ের অভিযানে সাগরপাড়ে আয়াতের খন্ডিত পা ও মাথার টুকরো উদ্ধার করা হয়।

 

আরকে/মআ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর