chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

৪০ বছরের অপেক্ষার অবসান ৮৭ বছর বয়সী বৃদ্ধার

প্রতিশ্রুতি রাখলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক"

৪০ বছর অপেক্ষার অবসান হল ৮৭ বছর বয়সী বৃদ্ধা নুর ছেহের বেগমের। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান প্রতিশ্রুতি রেখে বৃদ্ধার হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলে দীর্ঘ অপেক্ষা এবং কষ্টের শেষ হয়।

গত ৩ আগস্ট চট্টগ্রামে দুর্নীতি দমন কমিশনের শুনানিতে বৃদ্ধার কান্না এবং দীর্ঘ অপেক্ষার সংবাদ সাড়া ফেলেছিল দেশব্যাপী।

চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি সংরক্ষণ এলাকা বৃদ্ধির জন্য ১৯৮১ সালে দক্ষিণ হালিশহর মৌজায় মৌলভী বশিরউল্লাহর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিলো। ক্ষতিপূরণের টাকা হিসেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৭,১৭,৮৫৪/টাকা জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেন। বশিরউল্লাহর মৃত্যুতে ৬ ছেলে ওয়ারিশ হলেও, দুই ছেলে আবুল খায়ের ও আবু ছৈয়দ সমুদয় টাকা উত্তোলন করেন। এতে বঞ্চিত হন অপর ৪(চার) ছেলে। বঞ্চিত ৪(চার) ছেলের একজনের ওয়ারিশ নুর ছেহের বেগম এবং তার পরিবার। নুর ছেহের বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন সার্টিফিকেট মামলা রুজু করে বঞ্চিত ৪(চার) ছেলের হিস্যামতে ১৭,১৩৮৪৫/টাকা এলএ নথিতে ফেরত প্রদানের জন্য নোটিশ করেন আবুল খায়ের ও আবু ছৈয়দের বিরুদ্ধে। এতে নুর ছেহের বেগম ও তার পরিবারের হিস্যা ৪,২৮,৪৬১ টাকা।

কিন্তু দীর্ঘসময় পার হলেও সেই টাকা ফেরত দেয়নি তারা। মাঝখানে পার হয়ে গেছে প্রায় ৪০ বছর। কিন্তু আশা ছাড়েননি বৃদ্ধা নুর ছেহের। সেই আশায় আলো হয়ে আসেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান। দুর্নীতি দমন কমিশনের শুনানির দিন জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান যখন বৃদ্ধার কষ্টের কথা জানতে পারেন, তখন প্রতিশ্রুতি দেন সার্টিফিকেট মামলার কার্যক্রম জোরদার করে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।

সেই প্রতিশ্রুতি রাখলেন জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান। নুর ছেহের এর দীর্ঘ প্রতিক্ষারও অবসান হল। আজ এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে হাজির হয়েছিলেন নুর ছেহের। সাথে ছিল তার ছেলে, মেয়ে, নাতি-নাতনি। চেক গ্রহণের সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। বারবার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলেন জেলা প্রশাসক ও তার টিমের প্রতি। ছেলে মিজানুর রহমান বলছিলেন; যেই টাকা তারা ৪০ বছরে পায়নি, জেলা প্রশাসনের আন্তরিকতায় মাত্র ৪ মাসে তারা সেই টাকা পেয়েছে।