শেষ মুহূর্তে ইরানের চমক,লণ্ডভণ্ড ওয়েলস
১৯৫৮ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নামা ওয়েলস আগের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল। শুক্রবার প্রতিপক্ষ ইরানের আক্রমণও ভালোই সামলেছিল ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত। তখনো গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।
রেফারির বাঁশিতে ইনজুরি টাইম হয় ৯ মিনিটের। আর সেখানেই চমক দেখান ইরান। ৯৮ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ঢোকে ইরান।
তাদের আক্রমণের জবাবে ওয়েলসের অ্যালেন ঠিকভাবে বল বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বল চলে যায় চেশমির কাছে। বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে জাল কাঁপান ৭৮ মিনিটে বদলি নামা এই ডিফেন্ডার।
গোল শোধে মরিয়া ওয়েলস বাকি সময়ে জমাট বাঁধে ইরানের বক্সে। তারই খেসারত দিতে হয় আরেকটি গোল খেয়ে। ইনজুরি টাইমের ১১তম মিনিটে কাউন্টার থেকে তারেমি বল এগিয়ে নেন।
কাউকে বল পাস দেওয়ার জন্য খুঁজতে থাকেন। পান রেজাইয়ানের দেখা। বক্সের প্রান্ত থেকে বল তুলে দেন গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে, হয় লক্ষ্যভেদ। দারুণ গোলে দলকে বিজয় এনে দেন রামিন রেজাইয়ান। দুই গোল হজম করে হারের তিক্ত স্বাদ পায় ওয়েলস।
এই জয়ে ‘বি’ গ্রুপে তিন পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেলো ইরান। বাড়ালো শেষ ষোলোতে ওঠার আশা। অন্যদিকে ওয়েলস পিছিয়ে পড়লো খাদের কিনারায়।
২ ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ শেষ ষোলোতে ওঠার সুযোগ বাঁচিয়ে রাখলো ইরান। আর এক পয়েন্ট নিয়ে ওয়েলস নেমে গেলো তলানিকে। শেষ ম্যাচে ইরান খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এবং ওয়েলস মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ডের।
চখ/আর এস