chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পিবিআইয়ের নাঈমার মামলার বাবুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা মামলাটি দায়ের করেছিলেন। মামলাটি তদন্ত করছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আব্দুল হালিম এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল ইসলাম আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তদন্ত সংস্থা কারাবন্দি বাবুল আক্তারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছিল। ওই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য কারাগার থেকে বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
এদিকে বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মওলা মুরাদ জানান, পিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। এছাড়া আইনজীবীদের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে আলোচনার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তবে আদালত শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করে দিবেন।

এর আগে গেল ১৬ অক্টোবর স্ত্রী খুনের আসামি বাবুল আক্তার ও মার্কিন প্রবাসী সাংবাদিত ইলিয়াস হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে নগরের খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা। মামলায় বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ ও ভাই হাবিবুর রহমান লাবুকেও অভিযুক্ত করা হয়।
ইউটিউবে ইলিয়াস বাবুলের স্ত্রী মিতু হত্যার তদন্ত নিয়ে পিবিআই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইউটিউবে ভিডিও প্রচার করেছিলেন। গেল ৩ সেপ্টেম্বরের ভিডিওতে ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে: খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’শিরোনামে ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন। ওই ভিডিওতে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যে দিয়ে মিতু হত্যা মামলার বিষয়ে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিযোগ করে।
এদিকে একই ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার। এই মামলায়ও সাংবাদিক ইলিয়াছ, বাবুল আক্তারসহ জার জনকে অভিযুক্ত করেন।

 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে দুর্ত্তদের গুলিতে তৎকালীন পুলিশ সুপারের বাবুল আক্তারে স্ত্রী মিতু খুন হয়। হত্যাকাণ্ডের পর নগরের পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন তৎকালীন বাবুল আক্তার। পিবিআইয়ের তদন্তে বাদী বাবুল আক্তারই স্ত্রী হত্যার আসামি হয়ে এখনও কারাগারে আছেন।

আরকে/

এই বিভাগের আরও খবর