chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক আসামি গ্রেফতার

ঢাকার আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

তার নাম মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪)। সে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এজাহারনামীয় আসামি। মোহাম্মদপুর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলায় জামিনে ছিলেন মেহেদী।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

সিটিটিসির প্রধান জানান, জঙ্গি ছিনতাইয়ের মামলায় মেহেদী ১৪ নম্বর আসামি। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেহেদীর গ্রামের বাড়ি সিলেটের কোতোয়ালী এলাকায়।

ঘটনার দিন আনসার আল ইসলামের অন্যান্য ১৩ সদস্যের সঙ্গে আদালতে হাজিরা দিয়ে বের হয়েছিলেন মেহেদী। পুলিশ পরবর্তীতে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মামলায় তাকে আসামি করে। এই মামলায়ই তাকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি।

গত ২০ ডিসেম্বর বেলা ১২টার দিকে দুই জঙ্গিকে একটি মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ সদস্যরা তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন।

এ সময় পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করে জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এই দুই জঙ্গি দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি আসামি ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড হলেন নিষিদ্ধ-ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া। তার অনুমতিতে এই ছিনতাই অপারেশন পরিচালনা করেন সংগঠনের সামরিক শাখার প্রধান মশিউর রহমান ওরফে আইমান।

গ্রেপ্তার থাকা জঙ্গি আরাফাত ও সবুরকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আরও জানায়, কনডেম সেলে থাকা ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি আসামিরা প্রায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতেন। কারাগারে বসেই পরিকল্পনা হয় আসামি ছিনতাইয়ের।

প্রথমে ত্রিশালের জঙ্গি ছিনতাইয়ের মতো প্রিজনভ্যানে হামলার করে সহযোগীদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে কাশিমপুর থেকে পুরান ঢাকায় আদালত পর্যন্ত আনা-নেওয়ার সময় প্রিজনভ্যানে হামলা করাটা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয় তাদের।

তাই তুলনামূলক কম নিরাপত্তা থাকায় ছিনতাই অপারেশনের স্পট হিসেবে বেছে নেয় আদালত প্রাঙ্গণকে। আর অপারেশনের জঙ্গি সদস্যদের ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছিল সহযোগীরা।

জানা গেছে, ঘটনার পর তদন্তের অংশ হিসেবে ২১ নভেম্বর সিটিটিসি একাধিক টিম কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার পরিদর্শনে যায়। প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে কারাগার থেকে কার মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে জঙ্গিরা বাইরে যোগাযোগ করেছিল তা জানার চেষ্টাও চলছে।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর