পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: ছিনিয়ে নেওয়া মাদক ব্যবসায়ীসহ আটক ৫
নগরীর কালুরঘাটে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া সেই মাদক ব্যবসায়ীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (পশ্চিম) পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলো- পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার আন্দরকলা এলাকার লোকমান সওদাগরের ছেলে মো. হানিফ খান (২৬) ও ট্রান্সজেন্ডার মো. ইয়াছিন (২৪), চান্দগাঁও থানার মধ্যম মোহরার মৃত রফিকের ছেলে মহিউদ্দিন শরীফ (২৩), পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার আন্দুয়া এলাকার মোশাররফ শিকদারের ছেলে রেজাউল করিম (২২) ও নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার ভটিরটেক এলাকার মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে হৃদয় (৫১)।
গতকাল মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি এলাকায় ঢাকাগামী একটি বাস থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুর রহমান চৌধুরী বলেন, গত শনিবার রাতে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হানিফকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার সহযোগী ও ট্রান্সজেন্ডাররা। তাদের ধরতে পুলিশ বিভিন্নভাবে তৎপরতা চালায়। পরে মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীতাকুণ্ডে ঢাকাগামী একটি বাস থেকে হানিফ ও তার ভাই ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
এর আগে ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় নগীরর কালুরঘাট ব্রিজের সামনে ইয়াবাসহ হানিফ ও মহিউদ্দিন শরীফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে দু’জনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন হানিফের বোন নাজমা আক্তার। রাতেই হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। আহত হন পুলিশের দুই সদস্য। তারা পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর করে পুলিশের ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ফোন ও ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে মৌলভীবাজার এলাকায় রেললাইনের কাছ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ওয়্যারলেস সেটটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় কালুরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ রোকনুজ্জামান বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২২৪ জনকে আসামি করা হয়।