রশি দিয়ে হাত-পা বাঁধেন মা,শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেন আগুন
তখন মধ্য রাত । ঘরে ঘুমিয়ে ছিল রাজু। ওই সময় সহযোগীদের নিয়ে প্রথমে রশি দিয়ে রাজুর হাত-পা বাঁধেন মা লিপি আক্তার। পরে তার সারা শরীরে ঢেলে দেন কেরোসিন।
একপর্যায়ে লাগিয়ে দেন আগুন। ওই সময় রাজু বুক ফেটে চিৎকার করলেও গলেনি মা লিপির মন। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভায়। এ সময় গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সদর জেনারেল হাসপাতালে নেয়। পরে সেখান থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ১৮ নভেম্বর বিকেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রাজু।
ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকা থেকে মা লিপিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন রাজুর বাবা ও লিপির সাবেক স্বামী আনোয়ার। গ্রেফতার লিপি আক্তার ওই এলাকার মৃত লতিফ মিয়ার মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা।
তিনি বলেন, ছেলেকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মা লিপি আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
অভিযোগে আনোয়ার উল্লেখ করেন, ১৮ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। ১৩ বছর আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরমাঝে তাদের ঘরে আসে ১৭ বছরের রাইয়ান হোসেন ও ১৪ বছরের রাজু হোসেন নামে দুই ছেলের। বিচ্ছেদের পর মায়ের কাছে থাকতো সন্তানরা। ১৩ নভেম্বর রাতে লিপি অজ্ঞাত ২-৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে রাজুর হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এতে রাজু চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিভিয়ে তাকে প্রথমে সদর জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করায়। সেখানেই ১৮ নভেম্বর বিকেলে চিকিৎসাধীন মারা যায় রাজু।