chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

খেরসন থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহার শুরু

ইউক্রেনের পালটা আক্রমণের মুখে বড় ধাক্কা খেয়েছে রাশিয়া। বুধবার দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন শহর থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে ক্রেমলিন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে গতকালের দেওয়া ঘোষণা অনুসারে এই প্রত্যাহার শুরু হয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ইউক্রেনে রাশিয়ার কমান্ডার সের্গেই সুরোভিকিনের সঙ্গে এক টেলিভিশন বৈঠকে বলেন, ‘সৈন্য প্রত্যাহার করা শুরু করুন।’ সেইসঙ্গে শহর থেকে প্রত্যাহার করে সেনাদের ডিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে প্রতিরক্ষা স্থাপনের কঠিন সিদ্ধান্তের প্রস্তাবও করেন।

খেরসন শহরটি ছিল রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান চলাকালীন প্রথম শহুরে কেন্দ্র এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কোর বাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী। ইউক্রেনের সেনারা কয়েক সপ্তাহ ধরে কৃষ্ণ সাগরের কাছে শহরের পথে গ্রামগুলো দখল করে নিচ্ছে এবং খেরসনে ক্রেমলিন-স্থাপিত নেতারা বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছে। এ পর্যন্ত স্থানান্তর করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার অধিবাসীকে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক এক টুইটার পোস্টে বলেন, ‘কিছু রাশিয়ান সেনা শহরে রয়ে গেছে। তাদের খেরসন ছাড়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’

৪৬ বছর বয়সি একজন অর্থদাতা অ্যান্ড্রি ওরিখভস্কি কিয়েভে বলেন, ‘রাশিয়ান নেতৃত্ব ছলনার আশ্রয় নিয়েছে। ওদের বিশ্বাস করা উচিত নয়। আমাদের সরকারি সূত্রের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’ খেরসন সম্পূর্ণভাবে দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পোডোলিয়াক।

কিয়েভের একজন আইনপ্রণেতা এবং শান্তি আলোচনাকারী ডেভিড আরাখামিয়া জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে নিরাপত্তার মিথ্যা ধারণায় প্রলুব্ধ করা যাবে না।

তিনি বলেন, ‘আমরা শত্রুকে বিশ্বাস করি না এবং অঞ্চলগুলোকে মুক্ত করার জন্য আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকবে।’

তিনি জানান, শিগগিরই খেরসন, ডোনেস্ক, লুহানস্ক এবং সেভাস্তোপল ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হবে রুশসেনারা। নয়তো তারা ধ্বংস হবে।

খেরসন থেকে সেনাপ্রত্যাহারে রাশিয়ান ঘোষণার পর ইউক্রেনীয় একজন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাশিয়া খেরসনকে মৃত্যুনগরীতে পরিণত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর