chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

হাটহাজারীতে হামলার পর মামলা তুলে নিতে সংখ্যালঘু পরিবারকে হুমকির অভিযোগ 

চট্টগ্রামের হাটহাজারী  উপজেলায় একটি ভূমিদস্যু চক্রের হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে একটি সংখ্যালঘু পরিবার। সন্ত্রাসীচক্রটির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

রোববার ( ৬ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন বাবুল রাহা ও সরস্বতী রাহা। এসময় তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সরস্বতী রাহা বলেন, ফতেয়াবাদ চিকনদন্ডী গ্রামে আমরা পৈত্রিক মৌরশি সম্পত্তিতে বসবাস করছি। এলাকার ভূমিদস্যু খ্যাত যীশু বণিক, বিপুল বণিক, শংকর সরদার, হারাধন দাশ, শম্ভু নন্দীসহ একটি চক্র আমাদের বসতভিটার ১৭ শতক জায়গা নামেমাত্র মূল্যে তাদের কাছে বিক্রি করার চাপ দেয়। এতে আমরা রাজি হয়নি।

সরস্বতীর অভিযোগ, ভূমিদস্যু চক্রটি আমাদের স্বপরিবারে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে মারার হুমকি দেয়।

তাঁরা মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেস্টা চালায়। নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে আমরা ২৮ অক্টোবর হাটহাজারী থানায় সাধারাণ ডাইরি করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ভূমিদস্যু চক্রটি।

হামলা ও লুটপাটের কথা উল্লেখ করে সরস্বতী বলেন, ২৮ অক্টোবর বেলা ১২টায় ভূমিদস্যুরা ৫/৬ জন শসস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে বাড়ি ও আমাদের মন্দিরের গেইট ভাংচুর করে। পরে হাটহাজারী থানার এস আই সিদ্দিক আহমদ ঘটনাস্থলে আসলে তারা পালিয়ে যায়। ৩০ অক্টোবর সকাল ৭টায় দেড়শ’ সন্ত্রাসীর বহর নিয়ে তাঁরা আমাদের ঘর ঘিরে ফেলে। তাঁরা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে ও আমার স্বামীকে বেদঢক মারধর করে। মারাত্মকভাবে আহত করে। তারা আমার শ্লীলতাহানি করে। বাড়ি লাগোয়া আমাদের দোকান ভাংচুর করে। তারা ৬৫ হাজার টাকা ও দোকানের ৪ লাখ টাকার জিনিসপত্র লুট করে। এলাকার শত শত মানুষ দেখলেও তাদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেননি।

সরস্বতীর স্বামী বাবুল রাহা বলেন, তাদের হামলায় আমার পরিবারের সবাই আহত হয়। ওইদিন তাদের নিয়ে হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই। পরে থানায় গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এরপর হামলা ও লুটপাট কারীদের বিরুদ্ধে জুডেশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত চট্টগ্রামে আমার স্ত্রী সরস্বতী বাদী হয়ে মামলা করে। আদালত হাটহাজারী থানায় মামলাটি তদন্ত করার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, মামলা তুলে নিতে ভূমিদস্যুচক্রটি হুমকি দিচ্ছে। এলাকায় এসে মহড়া দিচ্ছে। তাদের ভয়ে পরিবারের ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে পারছে না।

সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে প্রশাসেনর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

মআ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর