chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ফয়’স লেক

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কৃত্রিম লেক ‘ফয়’স লেক’। যা প্রতিনিয়ত হাতছানি দেয় ভ্রমণপিয়াসীদের। কর্মব্যস্ত জীবন থেকে কিছু সময়ের জন্য মুক্তি পেতে ছুটে যেতে পারেন নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রকৃতির কাছে।

১৯২৪ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে খনন করা হয় এই বিশাল হ্রদটি৷। চারপাশে সুউচ্চ পাহাড়ে ঘেরা এই লেকের পাশেই রয়েছে চট্টগ্রামের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় বাটালি হিল। এছাড়াও আসমানী, গগনদ্বীপ, জলটুঙ্গি ইত্যাদি অসম্ভব সুন্দর পাহাড়গুলোর সমারোহ এই লেকের চারপাশ ঘিরে।

পাহাড় ঘেঁষে আছে বেশ ঘন বন-জঙ্গল, যে বনে খেলা করে খরগোশ ও চিত্রা হরিণের মতো সুন্দর বন্যপ্রাণীরা। লেক এলাকায় সাধারণত ১২ থেকে ১৫ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। পাহাড়ে রয়েছে চাপালিশ, ছাতিয়ান, বিভিন্ন ধরনের শিরীষ, জারুল, ধরমারা, ভাদি, রেইনট্রি, সেগুন, গামার, সোনালি ঝরনা, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, আমলা, বহেরাসহ নানা জাতের বৃক্ষ।

২০০৪ সাল থেকে কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্কের মাধ্যমে ফয়’স লেক বিনোদন কেন্দ্রের কাজ শুরু করে। ২০০৭ সালে গড়ে উঠে সি ওয়ার্ল্ড।

ফয়েজ লেকের ‘সী ওয়ার্ল্ড’ হচ্ছে একটি জল থিম পার্ক। স্প্ল্যাশ পুল, ওয়াটার কোস্টার রাইডার ও বিশ্বমানের থিম পার্ক হিসেবে যা যা আশা করা যায় তার সবই সি ওয়ার্ল্ডে আছে। এছাড়া এখানে একটি অবকাশযাপন কেন্দ্র আছে, যেখানে বিভিন্ন বয়সি ও রুচির মানুষের জন্য কিছু না কিছু আছেই।

অ্যামিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ডের উত্তরে টিলার উপরে মূল ফয়’স লেক। সেখানে টিলার উপরে আছে পিকনিক করার মতো জায়গা। সেখান থেকে আরেকটি টিলার উপরে গেলেই আছে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। চট্টগ্রাম শহরের ‘বার্ডস আই ভিউ’ দেখা যায় এ টাওয়ার থেকে। এই অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশের আহ্বানে প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক ছুটে আসেন এই লেকে।

ফয়’স লেকে উপভোগ করার মতো অনেক কিছুই আছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য ফয়’স লেক একরাশ আনন্দের জায়গা। এখানে শিশুদের জন্য যেমন নানারকম খেলার ব্যবস্থা আছে, তেমনি বড়রাও খুঁজে পাবেন পাহাড়, লেক সব মিলিয়ে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। শিশুদের জন্য বেশ কিছু আধুনিক রাইড আছে এখানে। যেমন সার্কাস সুইং, বাম্পার কার, বাম্পার বোট, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, জায়ান্ট ফেরিস হুইল, ড্রাই স্লাইড, ফ্যামিলি ট্রেইন, প্যাডেল বোট, ফ্লোটিং ওয়াটার প্লে, পাইরেট শিপসহ মজাদার সব রাইড।

এখানে চলে বাম্পার বোট ও বাম্পার কারের ঠোকাঠুকির প্রতিযোগিতাও। পাশ দিয়ে সার্কাস ট্রেন ঝিকঝিক শব্দে চলে যায়। রঙবেরঙের ঘোড়ার ওপর বসে শিশু-কিশোররা মত্ত হয় আনন্দে। এ রাইডের নাম বেবি কেরাওসাল। তাদের জন্য রয়েছে ভিডিও গেমসও।

এখানে চলে বাম্পার বোট ও বাম্পার কারের ঠোকাঠুকির প্রতিযোগিতাও। পাশ দিয়ে সার্কাস ট্রেন ঝিকঝিক শব্দে চলে যায়। রঙবেরঙের ঘোড়ার ওপর বসে শিশু-কিশোররা মত্ত হয় আনন্দে। এ রাইডের নাম বেবি কেরাওসাল। তাদের জন্য রয়েছে ভিডিও গেমসও।

হ্রদটিকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের জন্য হ্রদে নৌকাভ্রমণ, রেস্তোরাঁ, ট্র্যাকিং এবং কনসার্ট এর আয়োজন করা হয়ে থাকে।

ফয়’স লেকে প্রবেশের টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ৩০০ টাকা। সি ওয়ার্ল্ডে প্রবেশের জন্য ৩০০ টাকার প্যাকেজ রয়েছে। প্যাকেজের মধ্যে সি-ওয়ার্ল্ডের সবগুলো রাইড ব্যবহার করা যাবে। আবার বাম্পার কারসহ ফয়’স লেকের সবগুলো রাইড উপভোগ করার জন্য টিকেটের মূল্য জনপ্রতি ২০০ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর