chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রোহিঙ্গাদের এনআইডি তৈরির নামে অর্থ হাতিয়ে নিত তারা

জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড তৈরি করে দেওয়ার কথা বলে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নগরের মনসুরাবাদ মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (বন্দর-পশ্চিম) বিভাগের কনফোরেন্সে  রুমে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নগরের হালিশহর থানার আবাসিক বি-ব্লক ও হাউজিং এস্টেট উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চক্রের সদম্যদের  গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব তাদের কাছ থেকে এনআইডি তৈরির জন্ম নিবন্ধন ফরম উদ্ধার করা হয়েছে।

 

গ্রেপ্তার চক্রের সদস্যরা হলেন, মো. কামাল হোসেন ওরফে মোহাম্মদ (৪৫) পারভীন আক্তার(২৫), মো.নুরুল আবছার (২৮), শামসুর রহামন ওরফে শামসু মাস্টার ওরফে সোনা মিয়া(৬০), মো. ইয়াছিন আরাফাত (২২), মো.নুর নবী ওরফে অনিক ওরফে রাহাত(২৫), মো. মিজানুর রহমান (২৩), ফরহাদুল ইসলাম (২৮),ইমন দাশ (২০) ও মো.কামাল(৪২)। এর মধ্যে পারভীন আক্তার ও মো. কামাল হোসেনে ওরফে মোহাম্সদদ রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, এই চত্রের সদস্য শামসুর রহমান ও  নুরুল আবছার কক্সবাজারের বিভিন্ন  ক্যাম্প হতে রোহিঙ্গাদের এনআইডি কার্ড করে দেওয়ার কাজটি করে। এরপর নুরুল আবছার অনান্য আসামিদের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মাধ্যমে জাল এনআইডি কার্ড তৈরিতে সহায়তা করতো। এই চক্রের সদস্য  শামসুর রহামন ওরফে শামসু মাস্টার ওরফে সোনা মিয়া কক্সবাজার পোকখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ছিলেন। রোহিঙ্গাদের কার্ড তৈরির কাজে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারের পর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের  গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান এই পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আরকে/নচ

এই বিভাগের আরও খবর