chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পূর্ণ নাগরিক মর্যাদা পাচ্ছেন যুদ্ধশিশুরা

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে জন্ম নেওয়া যুদ্ধশিশুদের পূর্ণ নাগরিক মর্যাদা তথা জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। বাবার নাম না থাকায় দেশে বসবাসকারী এক যুদ্ধশিশু নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র না পাওয়ায় জামুকার ৮১তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগির মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সংশ্নিষ্টদের কাছে এই সুপারিশ পাঠানো হবে।

ঢাকার কাকরাইলে গতকাল সোমবার(২৪ অক্টোবর) জামুকার চেয়ারম্যান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়ার আন্তরিক চেষ্টায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার বীরাঙ্গনা পচি বেগমের (মৃত) মেয়ে মেরিনা খাতুনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধশিশুদের সমস্যার বিষয়টি সরকারের নজরে আসে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বিধবা পচি বেগমকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ক্যাম্পে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এতে পচি বেগমের গর্ভে সন্তান আসে। পিতৃপরিচয়হীন সন্তান মেরিনা খাতুন। এ সময় লোকলজ্জার ভয়ে পচি বেগম ভ্রূণ হত্যা করতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত সন্তানের জন্ম দেন এই সংগ্রামী নারী। এরপর শুরু হয় মেরিনার সংগ্রামী জীবন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

২০১৮ সালের ৪ জুলাই বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পান পচি বেগম। কিন্তু পিতার পরিচয় না থাকায় কন্যা মেরিনা খাতুনকে নানা ভোগান্তি এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হতে হয়। এ অবস্থায় যুদ্ধশিশু হিসাবে স্বীকৃতির জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলও (জামুকা) এতে সুপারিশ করে। এবার মেরিনা খাতুনের মতো সকল যুদ্ধ শিশুরা পূর্ণ নাগরিক মর্যাদা পাবেন।

এই বিভাগের আরও খবর