chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ফের গোলাগুলি মিয়ানমার সীমান্তে

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের সাথে সে দেশের স্বাধীনতাকামী গেরিলা গ্রুপ আরাকান আর্মির আবারও লড়াই শুরু হয়েছে। তবে এবার সীমান্তের দক্ষিণ দিক ছেড়ে সংঘর্ষ চলছে উত্তর-পূর্বাংশের ৪৯ ও ৫০ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলারের ওপারে। সে দেশের পুরান মাইজ্জা ক্যাম্প, অংচাফ্রি ক্যাম্প ও সালি ডং ক্যাম্পের কাছাকাছি এলাকায়।

এসব এলাকার বিপরীতে নাইক্ষ্যংছড়ির দৌছড়ি ইউনিয়ন ও সদর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা অবস্থিত।

ওপারে যুদ্ধাবস্থার কারণে এপারের জনপদে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

 

দৌছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান জানান, তার ইউনিয়নের বাহিরমাঠ এলাকার ওপারে সীমান্তের জিরো লাইনের কাছাকাছি দুটি ভারী মর্টার শেল বিকট শব্দে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছে এলাকাবাসী। এমন অবস্থায় আতঙ্কে সীমান্তে বসবাসকারী পরিবারগুলো নিরাপদ স্থানে সরে আসতে শুরু করেছে।

তিনি আরো জানান, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এসএমএস পাঠিয়ে ২০০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানান, দুপুর ১টার দিকে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দে তার ইউনিয়নের চাকঢালা ও চেরারমাঠ এলাকার লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

দৌছড়ি এলাকার বাসিন্দা আবদুর শুক্কুর জানান, শনিবার সকাল থেকে তিনি ধানক্ষেতে কাজ করছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে সীমান্তের ওপারে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরই তার ধানক্ষেতের কাছাকাছি জিরো লাইনের ওপারে মিয়ানমার ভূখণ্ডে দুটি বড় মর্টার শেল বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে কেউ হতাহত হয়েছে কি না সে বিষয়ে কোনো তথ্য তিনি জানতে পারেননি।

জানা গেছে, হঠাৎ করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে যুদ্ধাবস্থা শুরু হওয়ায় সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে বিজিবি জওয়ানদের। বিজিবির পক্ষ থেকেও সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী লোকজনকে জিরো লাইনের কাছাকাছি যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর