১৬মাসেও চালু হয়নি চবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের উদ্বোধন হয়েছে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। তবে উদ্বোধন হওয়ার ১বছর ১ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
এমনকি নতুন শিক্ষাবর্ষের (২০২১-২০২২) কোনো শিক্ষার্থীকে এই হলে সংযুক্তিও দেওয়া হয়নি। সব ধরনের কাজ শেষ হওয়ার পরও হলে আসন বরাদ্দ না দেওয়ায় অন্যান্য হলে ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ছাত্রী অবস্থান করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ হলের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ শিক্ষামন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হলের উদ্বোধন করেন। এই হলে ৩১২ জন ছাত্রীর আবাসনের সুবিধা রয়েছে। এর আগে ১৬ মাস আগে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রকাশ দাশগুপ্তকে প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়ার ১৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো হলে কোনো আবাসিক শিক্ষক ও লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া হলে আসন বরাদ্দে নীতিমালা প্রণয়ন করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু এখনো কমিটি নীতিমালা চূড়ান্ত করতে পারেনি।
গত ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হোসেন ভূঁইয়া এর সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন হলের আসন বরাদ্দ দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু এই হলে প্রভোস্ট সূত্রে জানা যায়, বঙ্গমাতা হলের আসন বরাদ্দ এই বিজ্ঞপ্তির আওতাধীন নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ছাত্রী হলের প্রভোস্ট বলেন, ‘মেয়েদের হলগুলোতে কোনো আসন তো খালি নেই, উল্টো ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি ছাত্রী অবস্থান করছে। এতে আমাদের একজনের আসনে দুইজন করে রাখতে হচ্ছে। যদি এই হল চালু হতো তাহলে ছাত্রীদের একটু কষ্ট কম হতো।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. প্রকাশ দাশগুপ্ত আলোকিত বাংলাদেশ’কে বলেন, হলে ছাত্রী ওঠাতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসবাবপত্র ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। খুব দ্রুততম সময়ে আমরা শিক্ষার্থী তুলতে পারবো। এখন প্রয়োজনীয় লোকবল ও নীতিমালা অনুমোদন হলেই আমরা ছাত্রী তোলার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান আলোকিত বাংলাদেশ’কে বলেন, ‘একটা হল চালু করতে অনেক গুলো ধাপ অনুসরণ করতে হয়। সবগুলো ধাপ অনুসরন করে ইউজিসি থেকে লোকোবল নিয়োগের অনুমোদন লাগবে। তাই এটার নীতিমালা কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় আছি। নীতিমালা কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য হল বরাদ্দ দেওয়া যাচ্ছে না। হল খালি রাখতে আমাদেরও ভালো লাগে না। আমরাও দ্রুত হল চালু করতে চাই।’
নীতিমালার বিষয়ে জানতে চাইলে নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক বেণু কুমার দে আলোকিত বাংলাদেশ’কে বলেন, ‘এই হলের নীতিমালা প্রনয়ণ হয়েছে। এখন শুধু উপাচার্য মহোদয় এর সাক্ষর নিয়ে পাস হওয়ার অপেক্ষায়। এরপর ইউজিসি থেকে লোকবল নিয়োগের অনুমোদন পেলে আমরা লোকবল নিয়োগ দিয়ে খুব দ্রুত আসন বরাদ্দ দিবো।