chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মহাবিপন্ন প্রাণী উল্লুকসহ এক পাচারকারী আটক

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে পাচারের উদ্দেশ্যে পরিবহনের সময় মহাবিপন্ন প্রাণী উল্লুকসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

রোববার গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে উল্লুকটিসহ পাচারকারী জুয়েল রহমান সোহেলকে আটক করা হয়।

২৭ বছর বয়সী সোহেলের বাড়ি খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাফিজনগর এলাকায়।

সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ।

পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাসের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রাজেস বড়ুয়ার নেতৃত্বে ওই অভিযানটি পরিচালিত হয়।

এ সময় ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেস নামে একটি যাত্রীবাহী বাসের ভেতর তল্লাশি চালিয়ে কৌশলে লুকিয়ে রাখা উল্লুকটিকে জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ।

আটক সোহেল দাবি করেছেন, উল্লুকটিকে তিনি ১৬ হাজার টাকায় বান্দরবানের এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিনেছেন। ভারতীয় পাচারকারীদের হাতে বেশি দামে এটিকে পৌঁছে দেয়াই ছিল তার উদ্দেশ্য।

তবে পাচারের আগেই ডিবি পুলিশের হাতে আটক হন সোহেল। পরে তার মোবাইল ফোন তল্লাশি করে আরও বহু বিপন্ন প্রাণীর ছবি পেয়েছে পুলিশ। এতে আটক সোহেলকে বন্যপ্রাণী পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে।

কুমিল্লা ডিবির পুলিশের ওসি রাজেশ বড়ুয়া জানান, বন্যপ্রাণী আইনে মামলা করে আটক সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া উল্লুকটিকে কুমিল্লা বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কুমিল্লা বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘উল্লুক মহাবিপন্ন প্রাণী। আমাদের হিসাবমতে, সারা দেশে মাত্র ২৫০টি উল্লুক রয়েছে। এসব প্রাণী ভারত হয়ে মধ্যপ্রাচ্যর ধনী ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানায় স্থান পায়। মাঝে হাতবদলের সময় বড় অঙ্কের লেনদেন হয়। উদ্ধার করা উল্লুকটিকে আমরা খুব শিগগির বনে উন্মুক্ত করব।’

এদিকে কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সোহেলকে আদালতে নিয়ে এলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’

এই বিভাগের আরও খবর