বন্দর এলাকায় চুরি হওয়া শিশু জেমীর, সিসিটিভিতে যে তথ্য মিলেছে
চট্টগ্রামের বন্দর এলাকা থেকে দিনদুপুরে চুরি হওয়া তিন বছরের শিশু জেমীর পাঁচ দিনেও কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ। নগরীর ইপিজেড কলসিদিঘির পাড় হয়ে অলংকার মোড় পর্যন্ত শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শিশুটিকে চুরি করে কখনো দৌড়ে, আবার কখনো হেঁটে পালিয়ে যাচ্ছে অজ্ঞাতনামা এক যুবক। এমনকি রিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেলে করেও শিশুটিকে নিয়ে পালাতে দেখা গেছে তাকে।
আর গত পাঁচ দিন শিশুকন্যা জেমীর ছবি নিয়ে পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন জুয়েল রানা-রানু আক্তার দম্পতি। প্রাণের ধনকে ফিরে পেতে কান্নাই যেন এখন তাদের সম্বল।
গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কৌশলে তাদের শিশুসন্তানকে চুরি করা হয়।
রানু আকতার বলেন, ‘আমার মা কমিশনার গলিতে ঢুকেছিলেন। আমার মাকে ওই যুবক বলে যে, আপনি আগে হাঁটেন। আমি বাবুকে নিয়ে হাঁটছি। একটু হেঁটে পেছনে তাকিয়ে মা দেখতে পান যে, আমার সন্তানটি নেই!’
বাবা জুয়েল রানা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার বাচ্চাকে কী করে ভুলে থাকতে পারব। আমার বাচ্চাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করে দেন।’
পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানের তথ্য বলছে, জেমীকে নিয়ে তার সত্তরোর্ধ্ব নানি ট্রেনে চট্টগ্রাম আসার সময়েই অনুসরণ করছিল ওই যুবক। পরে একই জায়গার বাসিন্দা দাবি করে একই সঙ্গে যাওয়ার কথা বলে বাচ্চাকে কোলে নেয় অভিযুক্ত যুবক।
জেমীকে নিয়ে ওই যুবক মোটরসাইকেলে অলংকার মোড় পর্যন্ত পৌঁছায়। এরপর বাসে চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে বলে ধারণা পুলিশের।
বিজিএমইএর অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ওই চোর আমাদের এলাকার পরিচিত কেউ নয়। সে কুমিল্লার লাকসাম থেকে উঠেছে। এখন হয়তো লাকসাম বা ঢাকা অথবা অন্য কোথাও চলে গেছে।’
চুরি হওয়া শিশু জেমীর মা গৃহকর্মী এবং বাবা রংমিস্ত্রি। কাজের সূত্রে দুজনই থাকেন নরসিংদী। যে কারণে শিশুটি থাকত বৃদ্ধ নানির কাছে। এ ঘটনায় জেমীর বাবা জুয়েল রানা বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেছেন।