chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ডেঙ্গু হলে করণীয়

বেশ কিছু দিন ধরেই সারা দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা। তার সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বেশিরভাগ রোগীই একজন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে বাসায় রেখেই চিকিৎসা করা যায়। আতঙ্কিত না হয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে চললে সহজেই এ রোগের জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর জন্য করণীয় :

১. প্রচুর পরিমাণে মুখে ওরস্যালাইন ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে (অন্তত তিন লিটার দৈনিক)।

২. জ্বর/ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়ানো।

৩. রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখা।

৪. রোগীকে দিনের বেলায় মশারির ভিতর রাখা।

৫. বাড়ির আশপাশের মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করা।

৬. নিম্নলিখিত বিপদচিহ্ন দেখামাত্র অনতিবিলম্বে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো।

ডেঙ্গু রোগীর বিপদচিহ্নগুলো :

১. পেটে তীব্র ব্যথা হওয়া।

২. খুব বেশি বমি হওয়া বা বমি না থামা।

৩. মুখে একেবারেই খেতে না পারা।

৪. তন্দ্রাভাব বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

৫. খুব বেশি দুর্বল হয়ে পড়া।

৬. হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া।

৭. বুক ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট হওয়া।

৮. শরীরের কোনো স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া (মহিলাদের মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত যাওয়া)।

৯. আলকাতরার মতো নরম কালো পাতলা পায়খানা হওয়া।

১০. ৪-৬ ঘণ্টার বেশি সময় প্রস্রাব না হওয়া।

বর্জনীয় কাজগুলো :

১. বিএমডিসি রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্য কোনো ওষুধ না সেবন করা।

২. মাংসপেশিতে কোনো ইঞ্জেকশন না নেওয়া।

৩. অযথা আতঙ্কিত বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হওয়া।

৪. সুস্থ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ভারি কোনো কাজ না করা।

মআ/চখ

 

 

এই বিভাগের আরও খবর