chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

আজ মীনা দিবস

নব্বই দশকের একটি জনপ্রিয় চরিত্র ‘মীনা কার্টুন’-এর মীনা। গ্রামের কন্যাশিশুরা শত ইচ্ছা থাকলেও স্কুলে পড়তে যেতে পারে না, এই নিয়ে ইউনিসেফ নির্মিত কার্টুনের প্রধান চরিত্র মীনা। এটি হয়ে ওঠে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর কন্যাশিশুদের প্রতীকী চরিত্র। মীনা চরিত্রটি কাল্পনিক হলেও এর রয়েছে সামাজিক বাস্তবতা। এরই স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৮ সাল থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব মীনা দিবস।’

বিদ্যালয়ে যেতে সক্ষম শতভাগ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিতকরণ এবং ঝরেপড়া রোধকল্পে অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্বে পালিত হয় ইউনিসেফের ঘোষিত দিবসটি।

‘নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা’-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে। প্রতিবছর সরকার, এনজিও ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সহযোগিতায় জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) ঘোষিত দিবসটি সাড়ম্বরে উদযাপন করে থাকে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে দিবসটি উদযাপিত হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা পিটিআইতে (মিরপুর-১৩) সকাল ৯টায় আলোচনা অনুষ্ঠান। এ ছাড়া দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে গল্প বলার আসর, বিশেষ ব্যক্তিত্বরা শিশুদের উদ্দেশে প্রেরণামূলক বক্তব্য প্রদান, পাপেট শো ও মাপেট শো, স্টল প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, যেমন খুশি তেমন সাজো ও মীনাবিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

মীনা একটি উচ্ছল, প্রাণবন্ত ও সাহসী মেয়ের নাম। মীনা কার্টুন চরিত্রে মীনার বয়স ৯ বছর। এই কার্টুনের আরও দুটি চরিত্রের নাম মীনার ভাই রাজু আর পোষা পাখি মিঠু।

লিঙ্গবৈষম্য রোধ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও শিশু নিরাপত্তার গুরুত্ব নিয়ে মীনা কার্টুনের গল্পগুলো তৈরি করা হয়। কার্টুনটি বাংলা, ইংরেজি, উর্দু, হিন্দি ও নেপালি ভাষায় সম্প্রচার করা হয়েছে। কার্টুন ছাড়াও কমিক বই ও রেডিও অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছে। এর স্রষ্টা বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। এই কার্টুনটির সূচনাসংগীতটিও শিশুদের কাছে খুব প্রিয়। বাংলাদেশে ইউনিসেফের বড় অর্জনগুলোর একটি ‘মীনা’।

মআ/চখ