chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শিক্ষার্থীদের খেলতে না দেওয়ায় শিক্ষিকার অভিনব প্রতিবাদ

চট্টগ্রামে নগরের ইয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাবাডি টিমের ছাত্রীদের শারীরিক নির্যাতন ও কাবাডি ম্যাচে খেলতে না দেওয়ার প্রতিবাদে এক শিক্ষিকা নিজের চুল কেটে প্রতিবাদ জানিয়েছেন । পরবর্তীতে চাকরি থেকেও অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২২সেপ্টেম্বর) রাতে শরীরচর্চার শিক্ষিকা জাহিদা পারভীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে জানানোর পর ভাইরাল হয়ে যায়। নিন্দার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নিপা চৌধুরী সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানা যায়।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের বকা, অপমান ও চুল ধরে টানাটানি করার প্রতিবাদে মাথা ন্যাড়া করেন শরীরচর্চার শিক্ষিকা জাহিদা। এ নিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটি ছিলো,

‘স্কুলের মেয়েদের মাসখানেক কষ্ট করে খেলা শিখিয়ে মাঠে নিতে যাওয়ার আগের দিন তাদের ফ্রেঞ্চ বেনী করে ছবি তোলা ও খেলতে যাওয়ার অপরাধে আমার স্কুলের হেড মাস্টার মেয়েদের চুল ধরে মারা ও বকার প্রতিবাদে নিজের মাথার চুল ফেলে দিয়েছি। খুব কি খারাপ দেখা যাচ্ছে??? পুনশ্চঃ আমার মেয়েরা খেলার মাঠে খেলতে নামার অনুমতি পায়নি।স্কুলের সভাপতি আবার বর্তমানে চট্টগ্রামের সিডিএর চেয়ারম্যান এবং স্কুলটি উনার বড় আব্বার নামে।’

শরীরচর্চার শিক্ষিকা জাহিদা পারভীন গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় থানা পর্যায়ে অংশ নেওয়ার জন্য ইয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২জন ছাত্রীর একটি কাবাডি দল গঠন করা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর কাবাডি ম্যাচ ছিলো। কাবাডি খেলার নিয়ম অনুযায়ী চুলে ক্লিপ লাগানো যায় না। চোখের সামনে চুল চলে আসায় মেয়েদের খেলতে অসুবিধা হয়। এই কারণে তারা ফ্রেঞ্চ স্টাইলে বেণী করে।তিনি আরও বলেন, ম্যাচের এক দিন আগে নিয়ম অনুযায়ী অংশগ্রহণকারী দলের ছবি তুলে কো-অর্ডিনেটরের কাছে জমা দিতে হয়। ৭ সেপ্টেম্বর ছাত্রীদের পরীক্ষা থাকায় পরীক্ষা শেষে ছবি তোলার জন্য ছাত্রীদের জার্সি পরে তৈরি হওয়ার জন্যে বললে বেণী করে জার্সি পরে তারা তৈরি হয়। এর মধ্যে আমি ফ্রেশ হতে গেলে হঠাৎ সেখান থেকেই আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পাই। এসে দেখি প্রধান শিক্ষিকা ছাত্রীদের বকাঝকা করেছেন। এমনকি কয়েকজন ছাত্রীকে চুল ধরে মারধর করেছেন। আমি ছাত্রীদের বেণী করতে বলেছি বিষয়টি প্রধান শিক্ষিকাকে জানাই । এ কথা শুনে তিনি আমার সঙ্গে দূর্ব্যবহার করেন। আমি শিক্ষার্থীদের সান্ত্বনা দিই। প্রধান শিক্ষিকার কারণে পরের দিনের ম্যাচে অংশ নিতে দেরি হয় এবং প্রতিপক্ষ দল ওয়াকওভার পেয়ে যায়।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নিপা চৌধুরী বলেন, ছাত্রীদের বকাবকি বা মারধর করিনি। ছবি তোলার আগে তাদের বলেছিলাম, স্কুলে সবসময় যে বেণী করে আসো, সেভাবে করো। ফ্রেঞ্চ স্টাইলে বেণী করলে হবে না। শুধু এটুকু বলেছিলাম । এখানে কোনো মারামারি বা বকাঝকার ঘটনা ঘটেনি।

এই বিভাগের আরও খবর