chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সপ্তাহ ব্যবধানে আবারো বেড়েছে আদা-রসুনের দাম

এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি পণ্য প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এর কারণ হিসেবে পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দামকে দায়ী করছেন।আবার কেউ বলছে যাতায়াত খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণ।

চট্টগ্রামের বেশ  কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চীন থেকে আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫৫ টাকা কেজিতে। যা আগে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে ছিল। এছাড়া আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকায়। যা আগে ১২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যেত।

পাহাড়তলী বাজারে বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পাইকারিতে দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরায় দাম বাড়ছে। গত এক সপ্তাহ  মধ্যে প্রায় প্রতিদিন ২-৫ টাকা করে বেড়েছে আদার দাম। রসুনেরও বেড়েছে। তবে আদার থেকে কিছুটা কম।

এদিকে এ সময়ের ব্যবধানে পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে আদা ও রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি আদা মানভেদে ১২৫ থেকে ১৫০ টাকা এবং রসুন ১০৫ থেকে ১২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে  দেশি রসুনের দাম অনেক কম। প্রতি কেজি দেশি রসুন মানভেদে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। দেশি আদার দামও ১০০ টাকার মধ্যে। তবে বাজারে আদার সরবরাহ খুব কম।

খাতিনগঞ্জ ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দিন জানান, অন্যান্য পণ্যের অস্থির বাজারে আমদানি বৃদ্ধির পর বেশ কিছু সময় নিম্নমুখী ছিল মসলার দাম। কিন্তু হঠাৎ  বাজার দাম বাড়তে শুরু করেছে। যারা আমদানি করছেন তারা কম দামে ছাড়তে পারছেনা।

এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীরা লোকসানে আমদানি পণ্য বিক্রি করছেন। সে কারণে এখন সরবরাহ কমছে। দাম কিছুটা বেড়েছে।

তিনি হিসাব দিয়ে বলেন, চীনে প্রতি টন আদার দাম ১১৩০ ডলার। যা প্রতি কেজি দাম টাকায় ১২৬ টাকার বেশি। সেটা পরিবহনসহ খরচ আরও কেজিতে প্রায় ১২ টাকা। এছাড়া ঘাটতি ও অন্যান্য খরচ মিলে প্রায় ১৪৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি। কিন্তু পাইকারি বাজারে এখনো এর চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

এ ব্যবসায়ী বলেন, ডলারের দাম বাড়ার পরেও বেশ কিছু সময় সরবরাহ চাপে বাড়তি দামে আমদানি করা বহু ব্যবসায়ী লোকসান করেছেন। এজন্য এখন আমদানি কমিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বাজারে পণ্যটির কিছুটা সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে।

খাতুনগঞ্জের শাহাদাত অ্যান্ড ব্রাদাসের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, পাঁচ-ছয় মাস ধরে বাজারে আদা-রসুনের বাজার অস্থিতিশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর বেশি থাকায় দেশের আমদানিকারকরা পণ্যটির আমদানি করেছেন কম। তারপরও বাজারে দেশি আদা-রসুন থাকায় দাম সেভাবে বাড়েনি। এখন মৌসুম শেষে এর প্রভাব পড়ছে।

এই বিভাগের আরও খবর