chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

৩২ পরোয়ানার পর ধরা “প্রতারক” দুই ভাই

একজনের বিরুদ্ধে ১৩টি এবং অন্যজনের ১৯টিসহ মোট ৩২টি পরোয়ানা নিয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে থাকলেও অবশেষে কোতোয়ালী থানা পুলিশের জালে ধরা পড়েছে প্রতারক দুই ভাই।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে গাজীপুরের গাঁছা থানার বটকলী এলাকা থেকে ছোট ভাই মো. জাফর ইকবাল খান (৪০)কে গ্রেফতার করার পর তার দেওয়া তথ্যমতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের জোড় পুকুরপাড় এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ।

সেখান থেকে বড় ভাই মো. মাজাহার ইকবাল খানকেও গ্রেফতার করা হয়। আর সেই সাথে দীর্ঘ প্রায় ৬ বছরে মোট ৩২টি পরোয়ানার ইতি টানল কোতোয়ালী থানা পুলিশ।

গ্রেফতার দুজনই চট্টগ্রাম নগরীর সিরাজুদ্দৌলা রোডের দিদার মার্কেটস্থ “ইকবাল সুইটস” নামক একটি মিষ্টি দোকানের স্বত্তাধীকারী এবং ওই এলাকার বাসিন্দা মৃত হাজী মোহাম্মদ ইকবাল খানের ছেলে।

জানা গেছে, দুই ভাইয়ের পিতা হাজী মোহাম্মদ ইকবাল খানের মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া জমির উপর মাল্টিস্টোরেড ১০ তলা ভবন নির্মাণের কথা বলে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও লোকজনদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন এ দুই ভাই।

ভবনটির ৮ম তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাঠামো দাড়ালে হঠাৎ করেই তারা ভবন নির্মাণ করার কাজ বন্ধ করে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

পুলিশের ধারণা, তারা দুজন মিলে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও লোকজনদের কাছ থেকে নেওয়া কোটি টাকা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে দুই ভাই চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যান।

পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বড় ভাই মাজাহার ইকবাল কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোর্ট থানাধীন জোড় পুকুরিয়া গ্রামে আত্মগোপন করেন। সেখানে তিনি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।

অন্যদিকে ছোট ভাই জাফর ইকবাল চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে গাজীপুর জেলার গাঁছা থানাধীন মেট্রিক্স স্টাইলস লিঃ কোম্পানিতে একাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে ৩২ পরোয়ানাভুক্ত দুই প্রতারক ভাইয়ের অবস্থান নিশ্চিত করে টিম কোতোয়ালী।

পরে বিশেষ এ টিম কুমিল্লা ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার দুজনকে সংশ্লিষ্ট পরোয়ানা মূলে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে জানালেন ওসি।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর