ভোগান্তি যেন কমছেই না চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটের ট্রেন যাত্রীদের
সড়কপথে ভাড়া নৈরাজ্য ও অসহনীয় যানজট এড়াতে এবং নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপদ যাতায়াতের জন্য চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটের ডেমু ট্রেনকেই বেচে নিয়েছিলেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের অসংখ্য যাত্রী।
মাঝে কিছু সময় স্বস্থিতে যাতায়াত করা সম্ভব হলেও বর্তমানে এ রুটের ট্রেন যাত্রীরা পড়েছেন মহা বিপাকে। ভোগান্তির যেন শেষ হয়েও, হচ্ছে না। এক ডেমু ট্রেন নিয়ে দুর্ভোগ এখন নিত্য সঙ্গী হয়ে দাড়াচ্ছে এ পথের রেল যাত্রীদের।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম-দোহাজারি লাইনে একমাত্র যাত্রিবাহী ডেমু ট্রেনটি দীর্ঘ ৮দিন বন্ধ থাকার পর সচল হলেও দুইদিনের মাথায় আবারো বিকল হয়ে গেছে। ফলে এই রুটে বন্ধ হয়ে গেছে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। এতে করে ফের ভোগান্তিতে পড়েছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের ট্রেন যাতায়াতকারীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পূর্ব গোমদণ্ডী রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার অনুপম দে বলেন, গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে পটিয়া ষ্টেশনে পৌঁছে। আবার পটিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বিকেল থেকে এই রুটে চলাচল করেনি ডেমু ট্রেনটি। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত ডেমু ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে চলাচলরত ডেমু ট্রেনটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিলো। ত্রুটি সারানোর জন্য এই রুটে ৮দিন বন্ধ ছিল ডেম চলাচল।
ত্রুটি সারানোর পর ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে ডেমু ট্রেনটি চলাচল শুরু করে। এর দুইদিনের মাথায় আবারো বিকল হয়ে পড়েছে ট্রেনটি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল এই রুটে চলাচলরত ২ জোড়া যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন ইঞ্জিন সংকটে কারণে বন্ধ হয়ে গেলে ডেমু ট্রেনটি ছিলো দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর ভরসা।
ডেমু ট্রেনটি প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী রুটে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা চার বার চলাচল করার কথা থাকলেও করোনার সময় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই বার করে আসে যায়।
তাছাড়া এ রুটে দোহাজারী বিদ্যুৎ প্লান্টের জন্য একটি ফার্নেস তেলবাহী ওয়াগন ট্রেন চলাচলরত রয়েছে। বর্তমানে একমাত্র ডেমু ট্রেনটির যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বন্ধ থাকছে দিনের পর দিন।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের হাজারো মানুষের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে ডেমু ট্রেনটি দ্রুত চলাচল উপযোগী করে তুলতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন এ রুটের যাত্রীরা।
চখ/আর এস