সচল হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা অবরোধ স্থগিতের পর নগর থেকে শাটল ট্রেন ও শিক্ষকবাহী বাস চলাচল করছে। এতে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) নির্ধারিত রুটিনে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে সোমবার ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা চবির মূলফটক অবরোধ, শাটল ট্রেন ও শিক্ষকবাহী বাস চলাচলে বাধা দেওয়ায় অন্তত ১১টি বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে মধ্যরাতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ স্থগিতের ঘোষণা দেন আন্দোলনরতরা।
অবরোধ স্থগিতের বিষয়ে ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) উপগ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, আমাদের নেতা সাবেক নগর মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেছি। তিনি বিবাহিত ও চাকরিজীবীদের বাদ দেওয়া, কমিটি বর্ধিত করা ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন এই তিন দাবির বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাস ও শাটল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অবরোধকারীদের বিষয়ে আজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।
উল্লেখ্য, সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রথমে পরিবহন পুলের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন একাংশের নেতা কর্মীরা । কয়েকটি বাসের চাবিও নিয়ে যান তারা। তারপর সকাল সাতটার দিকে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে তালা দেওয়া হয়। একই সময়ে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা শাটল ট্রেনও ষোলশহরে আটকে দেন তারা। শুরুতে আন্দোলন করে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেস, বাংলার মুখ, এপিটাফ, রেড সিগন্যাল, কনকর্ড ও উল্কা। তাদের সবাই আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। পরে একপর্যায়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী বিজয়ের নেতা-কর্মীরা তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
মআ/চখ