ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের সোনা পাহাড় ফিলিং স্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন জোনাকি বাস ও লরি। হাইওয়ে পুলিশ ও ১৫/১৬ জন দাঁড়িয়ে কথা বলছিল এ বিষয়ে। তখন রাত ১১ টা। মুহূর্তে পেছন দিক থেকে একটি কাভার্ডভ্যান মৃত্যুদূত হয়ে এসে পিষে দেয় ৪ জনকে। ঘটনাস্থলে তারা মারা যান। আহত হয়েছেন পুলিশ সহ আরো ১০ জন।
নিহতের মধ্যে সুমন ও শেখ ফরিদ আপন ভাই। তারা পেশায় সিএনজি আটোরিকশা চালক। পাশাপাশি একই এলাকার চারজন নিহত হওয়ায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তাদের স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার পলাশ কুমার দে জানিয়েছেন , নিহতরা হলেন মিরসরাই উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মো. হারুনের ছেলে মেহেদী হাসান (২২), মিরসরাই সদর ইউনিয়নের গড়িয়াইশ গ্রামের শামসুদ্দীনের ছেলে সুমন (২৮) ও শেখ ফরিদ (৩০) এবং পূর্ব রায়পুর এলাকার আবুল কাশেম (৬৫)।
আহতরা হলেন- জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল মো. মোস্তফা (৪৫), আব্দুল আউয়াল (৫০) রফিক (২৫), আব্দুল আউয়াল (৫০), শেখ আহম্মদ (৪৫)।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান চট্টলার খবরকে জানান, আহত ৬ জনকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল এএসআই মোস্তফার অবস্থা আশংকাজনক।
জোড়ারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামরুল হোসেন ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানান, বুধবার রাত ১১ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের সোনা পাহাড় ফিলিং স্টেশন থেকে বের হওয়ার পর একটি লরিকে চট্টগ্রামগামী জোনাকি পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। খবর পেয়ে সেখানে দায়িত্বরত হাইওয়ে পুলিশ এসে উভয় পক্ষের সঙ্গে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। তখন সঙ্গে এলাকার লোকজন ও স্থানীয় সিএনজি চালকরাও ছিলেন। এমন সময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি কাভার্ডভ্যান দাঁড়ানো সবাইকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ৪ জন মারা যান। আহতদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল এএসআই মোস্তফার অবস্থা আশংকাজনক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা নিহত সুমন ও শেখ ফরিদের স্বজনরা জানান, দুই ভাই রাতে ভাত খেয়ে বাড়তি আয়ের আশায় গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছিল। কিন্তু সর্বনাশা কাভার্ডভ্যান সব শেষ করে দিয়ে গেলো।
মআ/চখ