chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে ১৪ হাজার ইয়াবাসহ সাত মাদক ব্যবসায়ি গ্রেফতার

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৪ হাজার ১৫৫ পিস ইয়াবাসহ সাত মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। গ্রেফতারদের মধ্যে দুজন রোহিঙ্গা ও দুজন নারী রয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত এসব অভিযান চালানো হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- যশোরের কোতোয়ালী থানার পেজপাড়া গ্রামের হীরা মোল্লার স্ত্রী বৃষ্টি বেগম (২১), শেখ হাটি গ্রামের জুয়েল হোসেনের স্ত্রী সোনিয়া বেগম (২৮), কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোদার বিল গ্রামের নুর বশরের ছেলে ফজল করিম (২৫), কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের মৃত আলী জোহার ছেলে এনায়েত উল্লাহ (৩০), কক্সবাজার সদর থানার ঝিলংজা পশ্চিম লাহার পাড়া গ্রামের নাজির আহম্মদের ছেলে মো. সেলিম উল্লাহ (২১) ও উখিয়া থানার বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্পের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে মো. আবদুল খালেক নুর (২৫)।

জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল।

তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলা করা রয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভোর ৪টায় জিইসি মোড়ে সেন্টমার্টিন ট্রাভেলসের স্লিপার এসি বাস থেকে আট হাজার ৫৫০পিস ইয়াবাসহ বৃষ্টি বেগম ও সোনিয়া বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং সার্কেলের পরিদর্শক লোকাশীষ চাকমা বাদি হয়ে চকবাজার থানায় মামলা করেন।

একই এলাকা থেকে সকাল ৮টার দিকে সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস থেকে এক হাজার ৪০০ পিস ইয়াবাসহ এনায়েত উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চান্দগাঁও সার্কেলের উপ-পরিদর্শক নাসরিক পারভীন রুমি তালুকদার বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন।

একইভাবে সকাল ৭টার দিকে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে এক হাজার ৮৮৫ পিস ইয়াবাসহ এরশাদুলকে গ্রেফতার করা হয়। পাঁচলাইশ সার্কেলের এএসআই মনির হোসেন বাদি হয়ে কর্ণফুলী থানায় আরেকটি মামলা করেন।

অন্যদিকে, ভোর চারটার দিকে চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার যমুনা স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে সেলিম উল্লাহকে ৮২০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ সার্কেলের এএসআই মনির হোসেন বাদি হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন।

এছাড়া ভোর ৫টার দিকে শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজার সামনে থেকে সেজুতি ট্রাভেলসের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে ৫০০ পিচ ইয়াবাসহ আবদুল খালেক নুরকে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম। কোতোয়ালী সার্কেলের এএসআই সামসুদ্দিন বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় মামলা করে।

এই বিভাগের আরও খবর