chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে হঠাৎ চোখ উঠা রোগের আগমন,যা করবেন

হঠাৎ করে নগরে চোখ উঠা  রুগীর সংখ্যা বেড়েছে। এলাকায় প্রতি ঘরে মিলছে রুগী।

চট্টগ্রামে ফেসবুক ভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপে এই রোগের প্রতিকার চেয়ে লিখছেন অনেকে।কেউ কেউ জানতে চাইছে কোন ডাক্তার আর ঔষধ খেলে মিলবে এর সমাধান।তবে গত কয়েক বছরে এই সময়ে অনেকের চোখ উঠা রোগের বিষয় লক্ষ করা গেছে।

ব্যাটারি গলির বাসিন্দা মুনতাসীর বিল্লাল নামের একজন বলেন,আমাদের এলাকায় প্রায় লোকের চোখ উঠা রোগে আক্রান্ত।

সীতাকুণ্ড থানার এক বাসিন্দা জানান আমার পুরো পরিবার এই রোগে আক্রান্ত।তিনি লেখেন চোখ ফুলে লাল হয়ে বড় হছে, চোখ দিয়ে অনবরত কারো কারো পানি পরে।তীব্র জালা যন্ত্রনা করে চোখের ভেতর।

চোখ উঠা (কন্‌জাঙ্কটিভাইটিস) হচ্ছে চোখের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। সাধারণভাবে প্রচলিত কথা ‘চোখ ওঠা’ বলতে চোখ লাল হওয়া বুঝানো হয়ে থাকে। কিন্তু চোখ লাল হওয়া একটি উপসর্গ মাত্র। বিভিন্ন কারণে চোখ লাল হতে পারে। যেমন-জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে, এডিনোভাইরাসজনিত কারণে, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসজনিত কারণে, স্কেলেরার ইনফেকশনজনিত কারণে, ইউভিয়াল টিস্যুইনফেকশনজনিত কারণ ইত্যাদি। তবে ভাইরাস কেরাটাইটিস বা হারপেম সিমপেক্স ভাইরাসজনিত ইনফেকশনই মুলত ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। এ ধরনের ইনফেকশনে সাধারণত এক চোখ আক্রান্ত হয়ে থাকে।

তবে চোখ উঠলে ভয়ের কিছু নেই– সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে চোখ ওঠা আপনা-আপনি ভালো হয়ে যায়।

আমাদের দেশে শীতকালীন আবহাওয়ায় চোখ ওঠার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে চোখ ওঠার পর অবশ্যই চোখের বাড়তি যত্ন নিতে হয়।

চোখ ওঠে বুঝবেন যেভাবে

অপরিষ্কার বা নোংরা জীবনযাপন চোখ ওঠার অন্যতম কারণ। চোখ ওঠা রোগে চোখ লাল হয়ে যায়। আর এমনটি হয় এই কনজাঙ্কটিভার রক্তনালীগুলো প্রদাহর কারণে ফুলে বড় হয়ে যাওয়া এবং তাতে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে। ঘুম থেকে উঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা, সবসময় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি, চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা, আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা, সব কিছু ঘোলা ঘোলা দেখা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখের কোনায় ময়লা (যা কেতুর নামে প্রচলিত) জমা, চোখ ফুলে যাওয়া চোখ ওঠার লক্ষণ।

কী করবেন

১. চোখে উঠলে চোখে নোংরা পানি, ধুলাবালি, দূষিত বাতাস যেন প্রবেশ না করে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এ ছাড়া সকালে ওঠার পর চোখে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। অনেকে চোখ উঠলে বারবার পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন বা চোখে পানির ঝাপটা দেন। এটি মোটেই ঠিক নয়।

২. বাইরে যাওয়ার সময় সানগ্লাস পরতে হবে। এটি রোদে চোখ জ্বলা কমাবে।

৩. চোখ ওঠা ছোঁয়াচে রোগ, তাই যাদের চোখ উঠেছে, তাদের সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে।

৪. চোখ আক্রান্ত ব্যক্তির রুমাল, কাপড়চোপড়, তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি হ্যান্ডশেকের মাধ্যমেও অন্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য হাত তাড়াতাড়ি ধুয়ে ফেলতে হবে। নোংরা হাত চোখে লাগানো যাবে না।

৫. কোনো ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণের পর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে। এ জন্য দিনে তিন থেকে চারবার চোখের অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল ব্যবহার করতে হবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ

দৃষ্টি ঝাপসা হলে, চোখ খুব বেশি লাল হলে, খুব বেশি চুলকালে বা অতিরিক্ত ফুলে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

জুঈম/মআ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর