ইপিজেডে গৃহবধূ শামীমা হত্যার রহস্য উদঘাটন
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন নিউমুরিং তক্তার পুল এলাকার একটি বাসা থেকে শামীমা আক্তার নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী কিবরিয়া জাফরকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার রহস্য জানা যায়। সে জানায় তার প্রতিবেশী গৃহবধূ শামীমার স্বর্ণ ও মোবাইলের লোভে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্য করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ইপিজেড থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা।
এর আগে রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ইপিজেড তক্তার পুল এলাকার ফয়েজ বিল্ডিংয়ের ৫ম তলার ভাড়া বাসা থেকে শামীমা আক্তার নামে ওই গৃহবধুর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশে (বিজিবি) কর্মরত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী।
ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে এটি হত্যাকাণ্ড জানিয়ে ওইদিনই তদন্ত শুরু করে ইপিজেড থানা পুলিশ। তাছাড়া এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. আজম বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় একই দিন বিকেলে প্রতিবেশি জাফর কিবরায়াকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। হত্যার কারণও জানায় কিবরিয়া।
আজ সোমবার থানায় সংবাদ সম্মেলেনে গ্রেফতার কিবরিয়ার বরাতে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা জানান, স্বর্ণ ও মোবাইলের লোভে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শামীমাকে খুন করে কিবরিয়া।
তিনি বলেন, কিবরিয়া শনিবার দিবাগত রাত ২টার পর ভিকটিম শামীমার দরজায় নক করে। কিবরিয়া পূর্ব পরিচিত ও পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়া হওয়ায় শামীমা রুমের দরজা খুলে দেন। রুমে প্রবেশ করেই কিবরিয়া তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তিনটি স্বর্ণের দুল, দুটি স্বর্ণের আংটি ও একটি মোবাইল লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
চখ/আর এস