তথ্য গোপন করে সরকারি দুই প্রতিষ্ঠানে দুই যুগ ধরে চাকরি করা চট্টগ্রামের কানু কুমার নাথের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। কানু নাথ তথ্য গোপন করে প্রায় ২৯ বছর ধরে ‘ইউপি সচিব’ ও কলেজের প্রভাষক পদে কর্মরত ছিলেন।
চট্টগ্রামের দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম এ মামলা করেন। তিনি জানান, একইসাথে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য কলেজের মধ্যেই পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটির সদস্যরা অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পান। এ নিয়ে চট্টগ্রামের স্থানীয় দৈনিক বেশকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তৎপর হয় দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলায় তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪২০/৪০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহার উল্লেখ করা হয়- হাটহাজারী উপজেলার ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসাবে কানু কুমার নাথ ১৯৯১ সালে যোগদান করেন। পরে তিনি ১৯৯৪ সালের ৫ মে ফটিকছড়ি উপজেলার হেয়াকো বনানী ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি পূর্বের চাকরির তথ্য গোপন করে ১৯৯৫ সালের ১ জুন কলেজে এমপিওভূক্ত হয় প্রভাষক হিসেবে। তিনি কলেজে ১৯৯৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত সরকারী খাত (কলেজ হতে গৃহীত) থেকে বেতন ভাতা বাবদ মোট ৫০ লাখ ৫৭ হাজার ২৩৯ টাকা উত্তোলন করেছেন। একই সময় ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের দায়িত্বও পালন করেন। বিষয়টা তদন্ত করে দুদক। প্রাথমিক প্রমাণিত হওয়ায় মামলা দায়ের করে দুদক।