রেমিট্যান্স আসবে মাত্র ৫ সেকেন্ডে
দুনিয়ার যে কোনো প্রান্ত থেকে মাত্র ৫ সেকেন্ডে আসবে রেমিট্যান্স। এমনকি ব্যাংক খোলা থাকুক আর না-ই থাকুক, সেই অর্থ তাৎক্ষণিকভাবেই পাবেন প্রাপক। এতে হুন্ডির প্রতি নির্ভরশীলতা ও মানি লন্ডারিং কমবে।
ব্যাংকার কর্মকর্তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ব্লকচেইন টেকনোলজির মাধ্যমে এই সুবিধা দিতে পারে।
যে মূল কারণে হুন্ডিতে ঝোঁকেন প্রবাসীরা তা হলো দেশে টাকা পাঠিয়ে থাকতে হয় অপেক্ষায়, সেই টাকা কখন পাবেন স্বজনরা। ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে এবার যেখান থেকে এক পলকেই মুক্তি পেতে পারেন তারা। এই প্রযুক্তির সহায়তায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কোনো ঝামেলা ছাড়াই রেমিট্যান্সের অর্থ গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে দিতে পারে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘রিপেল’। পরীক্ষামূলকভাবে একটি বেসরকারি ব্যাংক ব্যবহারও করছে এই প্রযুক্তি। এতে লাগছে না বাড়তি সময়, কাগজপত্র নিয়ে কাউকে ব্যাংকেও আসতে হচ্ছে না।
ব্যাংক এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফারুক হোসেন বলেন, ব্লকচেইনের মাধ্যমে টাকা জমার তথ্য মাত্র ৫ সেকেন্ডের মধ্যে চলে আসছে। এখানে ব্লকচেইনকে যেন আমরা ইনভাইট করতে পারি সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারে সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং ব্যাংকিং কমিউনিটি।
সরকারি হিসেবে এই মুহূর্তে এক কোটি ২০ লাখ প্রবাসী প্রতি বছর গড়ে আড়াই হাজার কোটি ডলার দেশে পাঠান। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনো প্রায় ৪০ লাখ মানুষ দেশে টাকা পাঠাতে নির্ভর করে হুন্ডির ওপর।