ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জয়পুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকার পথে রওনা হন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার আজমির শরিফ পরিদর্শন ও হজরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.)-এর কবর জিয়ারত করতে সকালে প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে জয়পুর যান।
গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছান।
সেখানে শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রথম দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর মৌর্য্য হোটেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্যুইটের সম্মেলনকক্ষে তার সাথে দেখা করেন।
দ্বিতীয় দিনের সফরে শেখ হাসিনা হায়দারাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও একান্ত বৈঠক করেন। নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাঁকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারসহ নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
৭ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিন্ন নদ-নদীর পানিবণ্টন, সীমান্তে হত্যা ও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহযোগিতার বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পায়।